নওগাঁ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী

নওগাঁ-২ আসনে বিজয়ী শহীদুজ্জামান সরকার

নওগাঁ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হয়ে যাওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রাথী আমিনুল হক এর মৃত্যুজনিত কারণে ৭ জানুয়ারি ওই আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এ আসনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

তবে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪০ ভোট। তার নিকটকম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতিকের ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৩৬৩ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল পাখি প্রতীকের মেহেদী মাহমুদ রেজা পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৯ ভোট।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, গত ৭ জানুয়ারির মতো এই নির্বাচন যথেষ্ঠ সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থাগ্রহণ করার কারণে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই সন্তোষজনক ছিল। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে। পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-২ আসন। ধামইরহাট উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৩০১জন, মহিলা ৭৮ হাজার ৭১৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১জন। নির্বাচনে ৫৩জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৩০৪জন, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৬০৮জন এবং ৫৩টি ভোট কেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ২৯১ এবং অস্থায়ী ১৩টি।

অপরদিকে পত্নীতলা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৭জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৭১জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ৮৪৬জন। নির্বাচনে ৭১জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০২জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৮০৪জন এবং ৭১টি ভোট কেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ৪০২ এবং অস্থায়ী ২৮টি। ভোট গ্রহণের জন্য

মোট ৮৩০জন কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিল। এদের মধ্যে ১২৪জন প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৭০৬জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।

নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার এই দুই উপজেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছিল। কারণ গত ৭ জানুয়ারি সারা দেশের সাথে পুরো জেলায় এক সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে তুলনায় মাত্র একটি আসনে নির্বাচন হওয়ায় নিরাপত্তা অনেকগুন গ্রহণ করা সহজ হয়েছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে ৪জন তরে পুলিশ সদস্য রাখা হয়েছিল। প্রতিটি কেন্দ্রেই মোবাইল টিম নিয়োজিত ছিল। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। এই দুই উপজেলায় মোট ৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছিল। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় সংখ্যক আনসার সদস্যও নিয়োজিত ছিল। এক কথায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিজয়ী জামায়াত নেতা বললেন; ইমরানের প্রার্থীই জিতেছেন, আমি নই

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে হারলেন ড. ইউনূস, দিতে হবে ৫০ কোটি টাকা

news24bd.tv/তৌহিদ