বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে আরও চারটি পণ্যকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পণ্য চারটি হলো, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর এবং মুক্তাগাছার মণ্ডা। এ নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ২৮টি।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে জামদানি শাড়ির স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৬ সালে। এরপর স্বীকৃতি পায় আরও ২০টি পণ্য। সেগুলো হলো, বাংলাদেশ ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুরের কাটারীভোগ, বাংলাদেশ কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহীর সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতলপাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম, কুমিল্লার রসমালাই ও কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।
সম্প্রতি তিন পণ্য জিআই অনুমোদিত হয়।
এ ছাড়া আরও দুটি পণ্যের জিআই অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। সেগুলো হলো জামালপুরের নকশিকাঁথা এবং যশোরের খেজুর গুড়। আগামী সপ্তাহে এই দুই পণ্যের জার্নাল প্রকাশিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে বাংলাদেশে জিআই দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে একে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) নামে অভিহিত করা হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন ২০১৩ পাস হয়। এর দুই বছর পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়।
news24bd.tv/আইএএম