বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, পুলিশ সদস্য কারাগারে

প্রতীকী ছবি

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, পুলিশ সদস্য কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ইমন (২৮) নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নরসিংদীর আমলী আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে ইমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার সকালে ভুক্তভোগী নারী (২২) থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ইমন (২৮) কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত এবং রায়পুরা উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের মাহে আলমের ছেলে।

পুলিশ জানায়, রায়পুরার মাহমুদাবাদ এলাকায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়িতে রোববার রাত ১টার দিকে ওই পুলিশ সদস্য ধর্ষণের চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে এলাকাবাসী তাকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে।

সোমবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
 
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ১৮ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয় এবং পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভৈরব এলাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে একাধিকার শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে বেড়ানোর কথা বলে পুণরায় শারীরিক সম্পর্ক করা হয়। রোববার ওই তরুণীর বাসায় এসে ধর্ষণের চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্য।

রায়পুরা থানার ওসি সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, রোববার রাত ১টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি থেকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ইমনকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। সোমবার আমলী আদালতে তোলা হলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

news24bd.tv/কেআই