ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের সুষ্ঠু বিচার চাইলেন প্রীতির বাবা

নিহত গৃহকর্মী প্রীতি উরাং।

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের সুষ্ঠু বিচার চাইলেন প্রীতির বাবা

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার মোহাম্মদপুরে বহুতল ভবন থেকে পড়ে গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের মারা যাওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এ ঘটনায় অভিযুক্ত দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের যথাযথ বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মিতিংগা চা বাগানে কয়েকটি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে লোকেশ উরাং এই দাবি জানান।

এ সময় প্রীতি উরাংয়ের মা ও পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় ‘অবহেলায় মৃত্যু সংগঠনের অপরাধে’ মামলার পর সৈয়দ আশফাকুল হক এবং তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

প্রীতি উরাংয়ের বাড়ির কাছে মিতিংগা চা বাগানে মানববন্ধনের আয়োজন করে উরাং ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা কমিটি, চা শ্রমিকদের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি ও বাংলাদেশ ওরাওঁ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামের তিনটি সংগঠন।

বিক্ষোভ সমাবেশ পরবর্তীতে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি দেয় উরাং ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা কমিটি।

সমাবেশে প্রীতির বাবা লোকেশ উরাং বলেন, ডেইলি স্টারের মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারা আমার মেয়েকে আশফাকুল হকের বাসায় কাজের জন্য নিয়ে গিয়েছিল। শুরু থেকেই মেয়ের তেমন খোঁজ-খবর পেতাম না।

প্রীতির মৃত্যুর দিন মিন্টু দেশোয়ারা আমাদেরকে শ্রীমঙ্গল যেতে বলেন। শ্রীমঙ্গল যাওয়ার পর মেয়ে মারাত্মক অসুস্থ বলে আমাদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা যাওয়ার পর আমরা সরাসরি থানায় যাই। গিয়ে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনি। পরে মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি চলে আসি। আমি আমার মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাই।

আরও পড়ুন: বিএনপি এখন আর বিরোধী দল নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

উরাং ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা কমিটির কমলগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক পূরণ উরাংয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিপিবি মৌলভীবাজার জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জহরলাল দত্ত, বাসদ জেলা কমিটির সদস্য ও চা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ, চা শ্রমিকদের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক এস এম শুভ, সাংবাদিক সীতারাম বিন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জেলা কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দীসহ প্রীতির প্রতিবেশীরা।

গত বছরের ৬ আগস্টও একই ধরনের ঘটনা ঘটে আশফাকুল হকের বাসার। সেবার নয় বছরের এক শিশু গৃহকর্মী লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া হক ও শিল্পী নামের আরেক নারীকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা।

news24bd.tv/ab