ব্যবসায়ীদের অর্থপাচারের দায় নেবে না ডিসিসিআই

‘সিএমজেএফ টক’  এ কথা বলছেন ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ। ছবি ওয়ালিদ সাকিব। নিউজ টোয়েন্টিফোর।

ব্যবসায়ীদের অর্থপাচারের দায় নেবে না ডিসিসিআই

স্টাফ রিপোর্টার

মানিলন্ডারিংয়ের পেছনে অর্থনৈতিক কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ।  

তিনি বলেন, অর্থের ধর্ম হলো রিটার্ন যেখানে বেশি, সেদিকেই যাবে। দেশের বাইরে অর্থ বিনিয়োগ করলে যে রিটার্ন বেশি পাওয়া যায়, এমন নয়। বরং, দেশে বিনিয়োগ করলেই তার চেয়ে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়।

সুতরাং মানি লন্ডারিং অর্থনৈতিক কারণে হয় না।  

মঙ্গলবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ এ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে এ টকশোর আয়োজন করা হয়।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে যিনি দোষ করেন, এটা তার একান্ত দায়।

তাই কোনো একজন ব্যবসায়ী একা দোষ করলে তার দায় সব ব্যবসায়ীদের ওপর বর্তায় না।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হতে গেলে প্রতি বছর ইকোনমিকে আড়াইগুণ করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ উৎরাতে গেলে অনেক কিছু করতে হবে। গত দেড়-দুই বছরে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেছে আমাদের ইকোনমি ও বিশ্ব ইকোনমি। প্রধানত, মুদ্রাস্ফীতির সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছে।

আশরাফ আহমেদ বলেন, ২০২৪ হচ্ছে আমাদের বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী এক বছর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রয়োজন পড়বে। এটা কমে গেলে খরচ কমাতে হয়। এতে করে উৎপাদন কমাতে হয়। আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করছি যেন ক্রেডিট ফ্লো-টা বাড়ানো যায়।  

বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি কম হওয়ায় পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করা হচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি লোন নেয়া খুব ডিফিকাল্ট। এটা পুঁজিবাজারে নেই। আপনি বন্ড ইস্যু করলে ৫ বছর ১০ বছর করতে পারেন। আপনি যখন খুশি তা বিক্রি করে দিয়ে পারেন। পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করাটা একটু সময়সাপেক্ষ। এটা ইমিডিয়েট কাজ করবে না। দীর্ঘমেয়াদে এটা নিয়ে কাজ করা যাবে। অডিট রিপোর্টের একটা বাধ্যবাধকতা আছে।  

এ বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটে ভালো ইস্যুয়ারগুলোকে নিয়ে আসা। আমরা এ বিষয়ে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি। ভালো ইস্যুয়াররা বন্ডে ও ফিক্সড ডিপোজিট দুটোতেই আসতে পারে। বন্ড মার্কেটে প্রাইমারি ট্রেড হচ্ছে কিন্তু সেকেন্ডারি হচ্ছে না। ইস্যুয়ারদের নিয়ে এসে আমাদের ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হবে।

সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি গোলাম সামদানী। এসময় সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/aa