সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজে আসছে না কোনো উদ্যোগ। কাগজে কলমে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলেও ঢাকার রাস্তায় চলছে দেদারছে। স্টপেজ করে দেওয়া হলেও সেসব জায়গায় থামে না বাস। ই-টিকেটিং চালু হলেও-মাঝপথেই বন্ধ।
এমন অবস্থায়ও নিজেদের দোষ খুঁজে পাচ্ছে না বিআরটিএ কিংবা পরিবহন মালিক সমিতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোক দেখানো একের পর এক উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ায় কমছে না দুর্ভোগ। উল্টো জিম্মি-অসহায় রাজধানীর যাত্রীরা।যানজট এখন নগরবাসীর নিয়তিতে পরিণত হয়েছে।
অথচ গণপরিবহন-সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারের উদ্যোগের যেন শেষ নেই। ২০২১ সালের নভেম্বরের ঘোষণা-‘চলবে না সিটিং সার্ভিস। ’ কিন্তু বাস্তবতা এমন— সড়কে সবই এখন সিটিং সার্ভিস। আর তাতে পুরো ঢাকায় লোকাল বাসই খুঁজে পাওয়া কঠিন।
একইভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করে পরিবহন মালিক সমিতি। তবে, কয়েক মাসের মাথায় ভেস্তে গেছে সে উদ্যোগও। একেক বাসে একেক রকম ভাড়ার মহোৎসব চলছে আগের মতোই।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েতউল্লাহ বলেন, বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে শাস্তিমূলক যে ব্যবস্থা সেটা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নেওয়া যাচ্ছে না। যদি বিআরটিএ থেকে ম্যাসিস্ট্রেটের মাধ্যমে নেওয়া যেত তবে ভালো হতো।
বিআরটিএ’র পরিচারক মাহবুব এ রাব্বানী বলেন, যাত্রী হয়রানি যাতে না হয় সে জন্য আমরা মালিক পক্ষকে বলি। এবং বাসগুলো তদারিক করি।
প্রত্যেক মোড়ে নির্দিষ্ট স্টপেজ থাকলেও পুরো রাস্তাজুড়েই চলে যাত্রী ওঠানামা। ঢাকার গণপরিবহনের এত এত কর্তৃপক্ষ, তারপরও এসব দেখার যেন কেউ নেই।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, অনেকগুলো উদ্যোগ আমরা নিই, কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। সেগুলোর অন্যতম কারণ— তদারকির অভাব। বাস মালিকরা ওয়েবিলের কথা বলে যেভাবে বাস পরিচালনা করে— এটা পৃথিবীর কোথাও হয় না।
কঠোর আইনানুগ শাস্তি ছাড়া নিয়ম ভাঙার এসব প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে না বলেও মনে করেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
news24bd.tv/আইএএম