সপ্তাহে ৬ দিনই যান ডেটে, আর সেখানে ভরপুর খেয়ে বাড়ি ফিরে আর রান্নার প্রয়োজন হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ডেটের খাবারের বিল দিয়েছেন প্রেমিক। এভাবেই চলেছে দু’বছর। ফলে এসময়ে বাজার খরচ কমেছে অন্তত ১৫ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার।
এমন এক নারীর ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ওই নারীর নাম ভিভিয়ান তু। তিনি ওয়াল স্ট্রিটের সাবেক ব্যবসায়ী।
তিনি নিজের টাকা বাঁচানোর গল্পের একটি ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘যখন তারা (পুরুষ) বলে, নারীরা বিল দেয় না, কিন্তু আপনি মুদি দোকানের খরচা এড়াতে সপ্তাহে ছয়দিন ডেট করেন। ’ ভিডিওতে তাকে সৈকতে সানগ্লাস পরে তুলে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
তিনি লেখেন, ‘২০১৬–১৮ সালের মধ্যে আমি একবারও মুদি দোকানে যাইনি, কিছু কিনিওনি। এতে সপ্তাহে আমার প্রায় ১৫০ ডলার সঞ্চয় হয়েছে। ’ তবে ভিডিওটি টিকটকে ভাইরাল হওয়ার পর ওই অর্থ বিশেষজ্ঞ নারী ‘এলিট ডেইলি’ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভিডিওর ক্যাপশনটি অতিরঞ্জিত ছিল এবং তিনি শুধু খাওয়ার জন্য ডেটে যেতেন না!
তবে ভিভিয়ান স্বীকার করেছেন যে তিনি প্রেমের বাহানায় ফ্রিতে খাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি বরং এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তখন আমি ইক্যুইটি ট্রেডার হিসেবে কাজ করি তখন ৯৫ হাজার ডলার উপার্জন করছিলাম। কিন্তু আমার খরচ অনেক বেশি ছিল। আমি ম্যানহাটনে থাকতাম এবং হেলস কিচেনে আমার অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া দিতাম। সেখানে মুদি দোকান পাওয়া এত সহজ ছিল না। আমার অ্যাপার্টমেন্টের কাছের বাজারে সবকিছুর দাম অনেক বেশি ছিল, তাই আমি সেখানে কেনাকাটা করতে কখনোই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনি। ’
আরও পড়ুন : ভিক্ষায় ৪৫ দিনে আয় আড়াই লাখ, আছে জমি-দোতলা বাড়ি!
ডেটে গিয়ে ভালোবাসার মানুষকে খুঁজে পাওয়ার ধারণাকে সমর্থন করেন জানিয়ে ভিভিয়ান বলেন, ‘তবে, আমি নিজের টাকা দিয়ে মুদি দোকান থেকে খাবার কেনার (আবার রান্নাও করতে হবে) চেয়ে প্রেমের বাহানায় একটি জাঁকজমকপূর্ণ রেস্তোরাঁয় (সম্ভবত) বিনামূল্যে খেতে যেতেই বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করি!’
আরও পড়ুন : মোবাইল চুরির প্রশিক্ষণ, বেতন ৩৩০০০ টাকা!
শেষ পর্যন্ত তিনি বলেছেন, এই কৌশল তার হাজার হাজার ডলার বাঁচিয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এধরনের কাজের পরিণতি অনেক খারাপও হতে পারে। তিনি জানান, তার সঙ্গেও এমনটি ঘটেছে। কারণ খাবার গ্রহণের চিন্তা থেকে খুব অপছন্দের মানুষের সঙ্গেও তাকে বেশ কয়েকবার ডেটে যেতে হয়েছিল।
news24bd.tv/aa
