৪০ গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তায় দুর্ভোগ চরমে

নাটোর-বাগাতিপাড়া সড়কে খানা-খন্দ সৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারণকে দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

৪০ গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তায় দুর্ভোগ চরমে

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর-বাগাতিপাড়া সড়কে খানা-খন্দ সৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারণকে দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটির চার কিলোমিটার অংশে কয়েক বছর আগে খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়। সড়কের দু’ধারের পাকা অংশসহ বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে করে এই পথে চলাচলকারী যানবাহনকে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।

এই পথ দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণকে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, নাটোর সদর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার মধ্যকার সংযোগ সড়কের দুরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে নাটোর সদর উপজেলার অংশে রয়েছে প্রায় চার কিলোমিটার। বিগত বছরগুলোয় বৃষ্টিপাতের কারণে নাটোর সদর অংশের চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ ভেঙ্গে যায়।

ওই ভাঙ্গা অংশের কার্পেটিং ধীরে ধীরে উঠে যেতে থাকে। এছাড়া কিছু কিছু স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। যানবাহন চলাচলের কারনে সেসব ভাঙ্গন বড় হয়ে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সড়কটি মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। তবে এই সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হলেও তমালতলা হয়ে বাগাতিপাড়া যাওয়ার সড়কটি বিকল্প সড়ক হিসাবে চলাচলের গুরুত্ব বেড়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, তমালতলা সড়ক দিয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা যেতে দুই থেকে তিন কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হয়। তবুও এই পথেই এখন অধিকাংশ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে থাকে।

এদিকে খানা-খন্দ সৃষ্টি হওয়া সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সদর উপজেলার রামনগর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও টেটনপাড়া গ্রামের মিনহাজ ও বুড়ির বটতলা এলাকার শাহিন জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে সড়কটিতে খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়। এই সড়ক দিয়ে প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ নাটোর জেলা সদর বা বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। যারা এই সড়কের ধারে বসবাস করেন এসব গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগ নিয়েই এই পথে চলতে হয়। সদর উপজেলার ইয়াছিনপুর, টেটনপাড়া, কোয়ালিপাড়া, শ্রীকৃষ্ণপুর, বুড়ির বটতলা, রামনগর, রামেশ্বরপুরসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগ এখন নিত্যদিনের।

আরও পড়ুন: পরবর্তী প্রজন্ম পানি নিয়ে ঝুঁকিতে পড়বে: বিশেষজ্ঞ মতামত

নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর আলী বলেন, বাগাতিপাড়ার এই সড়কে যে চার কিলোমিটার অংশে খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়েছে তা আমার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যে। সড়কটি এলজিইডির আওতাধীন। সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বেশ কয়েকবার আবেদন জানানো হয়েছে। গত বছর কিছু অংশ মেরামত করা হলেও তা আবারও পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে। এই অংশটি নতুন করে নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে।

নাটোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, সড়কটি বিদেশি প্রজেক্টের আওতায় পুননির্মাণের জন্য একটি প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রজেক্টটি পাশ হলে সড়কের ভাঙ্গা অংশ পুননির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

news24bd.tv/ab

এই রকম আরও টপিক