রসের ৮৯ রানের পরেও ২৭ রানে হার ঢাকার 

ব্যাট হাতে ঝোড়ো ক্যামিওর পর বল হাতেও ৩ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন - বিসিবি

রসের ৮৯ রানের পরেও ২৭ রানে হার ঢাকার 

অনলাইন ডেস্ক

ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে কিছুতেই যেন বের হতে পারছে না দুর্দান্ত ঢাকা। মিডল অর্ডার ব্যাটার অ্যালেক্স রস একাই ৮৯ রান করার পরেও ফরচুন বরিশালের কাছে এবার ২৭ রানে হেরেছে তাসকিন আহমেদের দল। এ হারে টানা ৯ হারের লজ্জার রেকর্ড গড়ল ঢাকা। অপরদিকে, ঢাকার বিপক্ষেই টানা দ্বিতীয় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এলো বরিশাল।

আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশালের দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ঢাকা। রস একটা প্রান্ত থেকে চেষ্টা করলেও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানে থামে ঢাকার রানের চাকা।

লক্ষ্য বড় বলে প্রথম ওভার থেকেই দ্রুত রান তোলার তাড়া দেখা যায় ঢাকার ব্যাটারদের মধ্যে। সেই তাড়াই কাল হয় নাঈম শেখের জন্য।

টানা তৃতীয় বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ১০ রানেই কেশব মহারাজের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তুলে নেন অ্যাডাম রসিংটন (৪) ও সাইফ হাসানকে (২)। পাওয়ারপ্লেতে আরও একটি উইকেট হারায় ঢাকায়। এবার সন উইলিয়ামস ১২ রান করে বিদায় নেন পেসার খালেদ আহমেদের বলে।

এরপর তাসকিন আহমেদ (১০) বাদে আর কেউই দেখা পাননি দুই অংকের ঘর। একপ্রান্তে শুধু খেলে গেছেন রস। টানা দ্বিতীয় ফিফটি মেরে তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৯ রান করে। ৫ চার আর ৭ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি।

বরিশালের হয়ে বল হাতেও আজ অনবদ্য ছিলেন সাইফউদ্দিন। রসিংটন-সাইফের পর তাসকিনের উইকেটও নেন তিনি। ৩ উইকেট পেয়েছেন খালেদ আহমেদও। ওবেদ ম্যাকয় ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।   

এর আগে, ব্যাটিং উইকেটে নেমে বরিশালের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। প্রথম ৩ ওভারে আসে মাত্র ১৩ রান। এর মধ্যে ৬ রানই অতিরিক্ত। তবে পঞ্চম ওভারে আরাফাত সানীর ওপর তাণ্ডব চালিয়ে বরিশালকে পাওয়ারপ্লেতে বড় রান পাওয়ার নিশ্চয়তা দেন তামিম ইকবাল। সানীর ওই ওভারে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান নেন তামিম। এরপর আরও কয়েকবার বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। ফলে ৩৪ বলে এবারের আসরের প্রথম ফিফটি তুলে নেন তিনি।  

তামিম ফিফটি তুলে নেওয়ার আগে বিদায় নেন তার ওপেনিং সঙ্গী আহমেদ শেহজাদ। ঢাকার হয়ে দারুণ বোলিং করা আলাউদ্দিন বাবুর প্রথম শিকার হয়ে শেহজাদ ২৪ রান করে নেন বিদায়। এরপর তামিমকেও ফেরান এই মিডিয়াম পেসার। দ্রুত তুলতে গিয়ে ৭১ রানে লং অফে সাইফ হাসানকে ক্যাচ দেন তামিম। এরপরই কমে যায় বরিশালের রান তোলার গতি। হারাতে থাকে উইকেটও।  

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০ বলে ১৩, সৌম্য সরকার ২৩ বলে ২৮ এবং মুশফিকুর রহিম ৩ বলে ১ রান করে বিদায় নেন। ১৫-১৯, এই ৪ ওভারে বরিশাল স্কোরবোর্ডে তুলতে পারে কেবল ২২ রান। বরিশালের শেষটা হতে পারতো বেশ বাজে, যদি না সাইফউদ্দিন ঝড় তুলতেন শরীফুল ইসলামের ওপর। শেষ ওভারের শেষ ৫ বলে একাই ২২ রান তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। মাত্র ৬ বলে ২৩ রান করেন সাইফউদ্দিন। অপরপ্রান্তে ৯ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক।

আলাউদ্দিন বাবু শেহজাদ-তামিমের পর তুলে নেন মাহমুদউল্লাহর উইকেট। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে তিনিই ঢাকার সেরা বোলার। তাসকিন আহমেদ ২ উইকেট পেতে খরচ করেছেন ৩০ রান। ১ উইকেট নেওয়া শরীফুল আজ ছিলেন খরুচে, ৪০ রান দেন তিনি।

news24bd.tv/SHS