মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া 

মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে

অনলাইন ডেস্ক

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত ও টেকনাফ থেকে বিজিবির পাহারায় কক্সবাজারের ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয় তাদের। আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা এসব ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনী, শুল্ক কর্মকর্তারা।

সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারবিষয়ক পরিচালক মো. রকিবুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোয়ে ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

বিজিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় এসে গভীর সাগরে অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের জাহাজে করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুলিশ কর্নেল মায়ো থুরা নাউংয়ের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি বিজিপি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের ইনানীর নৌবাহিনীর জেটিঘাটে আসেন। পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের ওই জাহাজে নিয়ে গিয়ে হস্তান্তর করা হবে।  

গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়।

যুদ্ধের মধ্যে বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। এ সময় তাদের নিরস্ত্র করে ঘুমধুমের একটি স্কুলে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়। পরে তাদের মধ্যে ১০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয় টেকনাফে।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে আজ

এর মধ্যেই তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের তরফ থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়। পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী ৩৩০ জনের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিক।

news24bd.tv/TR   

এই রকম আরও টপিক