রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর অবস্থান’ থেকে সরে এসেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। এর ফলে পাল্টে যেতে পারে গোটা পরিস্থিতি। খবর জিও নিউজের
পিটিআইয়ের দলীয় সূত্রের বরাতে জানানো হয়, ইমরান খান কেন্দ্রে সরকার গঠনের বিষয়ে বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন। কারাবন্দী ইমরান খান পিপিপির সঙ্গে কথা বলতে ‘প্রস্তুত’।
সরকার গঠনের বিষয়ে পিটিআই এবং পিপিপির মধ্যে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে সূত্রটি জিও নিউজকে বলেছে, দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া হবে।
এমন সময়ে এ খবর সামনে এলো যখন, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বাধিক আসনে জয় পাওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রে জোট সরকার গঠনের জন্য পিপিপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।
অন্যদিকে নির্বাচনে ‘কারচুপি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি, জামায়াত-ই-ইসলামি এবং অন্যান্য জাতীয়তাবাদী দলগুলোর মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পিটিআই জোট করতে চায় বলে জানা গেছে।
এর আগে অবশ্য পিটিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন পিপিপি-এর কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি।
কিন্তু পিপিপির সঙ্গে যোগাযোগের খবর অস্বীকার করে পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ বলেছেন, পার্টির প্রতিষ্ঠাতা (ইমরান খান) পিপিপি এবং পিএমএল-এনের সঙ্গে আলোচনা না করতে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পিপিপির সঙ্গে পিটিআইয়ের সরকার গঠনের রিপোর্ট বিভ্রান্তিকর। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, তিনি বিরোধী দলে বসবেন কিন্তু পিপিপি এবং পিএমএল-এনের সঙ্গে জোট করবেন না।
এর মধ্যেই পিটিআই মহাসচিব ওমর আইয়ুবকে প্রধানমন্ত্রী পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র: জিও নিউজ
news24bd.tv/তৌহিদ