ভোর রাতে ঘরে ঢুকে স্ত্রী-মেয়ে-শাশুড়িকে হত্যার চেষ্টা

আহতদের ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে - নিউজ টোয়েন্টিফোর

ভোর রাতে ঘরে ঢুকে স্ত্রী-মেয়ে-শাশুড়িকে হত্যার চেষ্টা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সেনবাগে ঘরে ঢুকে স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িকে ধারালো চেনি দিয়ে কুপিয়ে জখম ও হত্যা চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক স্বামী আমির হোসেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

আহতেরা হলেন, সেনবাগের অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬০), তার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৩৮) ও নাতনী রাবেয়া আক্তার (১৮)।

আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে সেনবাগের উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমার নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত আমির হোসেন পালিয়ে যায়। সে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্যার ছেলে।

স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ফাতেমার সঙ্গে তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনাইমুড়ীর উপজেলার আমির হোসেনের সঙ্গে সেনবাগের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়।

কয়েক বছর পর তাদের সংসারে কলহ দেখ দেয়। তিন বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ (ছাড়াছাড়ি) হয়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে ইদিলপুর গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করে এবং স্বামী পার্শ্ববর্তী আর একটি গ্রামে দুই বছর আগে নতুন করে বিয়ে করে বসবাস শুরু করে।

শুক্রবার ভোর রাতের দিকে আমির হোসেন মুরগির খোপে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে শব্দে তার সাবেক স্ত্রী ফাতেমা ঘরের দরজা খোলেন। এসময়য় হঠাৎ আমির ঘরে ঢুকে ধারালো চেনি দিয়ে এলোপাতাড়ি সাবেক স্ত্রী ফাতেমা, শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। আহতদেরকে আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

news24bd.tv/SHS   

এই রকম আরও টপিক