খুলনার পাইকগাছায় দস্যুতা ও চোখে আঠা জাতীয় পদার্থ ‘গ্লু’ লাগিয়ে ধর্ষণের মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সন্দেহজনক মূল আসামি ইমামুল জোয়াদ্দার ওরফে এনামুলকে (২৩) ওয়ানস্যুটার গান, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া চোরাই স্বর্ণালংকার কেনার অভিযোগে সুমন হালদার, চুরি হওয়া মোবাইল হেফাজতে থাকায় এনামুলে মা রাশেদা বেগম ও একই এলাকার আ. সালাম নামে আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) খুলনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আসামি এনামুল পরপর কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত করেছে। এর মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি কপিলমুনি পূর্বকাশিমপুর এলাকায় মাদক বিক্রির সময় তিনি ওয়ানস্যুটার গান, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে পাইকগাছার রাড়–লিতে গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তার চোখে গ্লু লাগানো ও মোবাইলসহ তার কানের দুল চুরি করার কথা স্বীকার করে। কিন্তু ওই নারীকে ধর্ষণের কথা এখনও স্বীকার করেনি।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর ওই গৃহবধূর রাইসকুকারে ভাতের সাথে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয় বলে স্বীকার করেছে। পরে রাত ২টার দিকে ঘরে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় গৃহবধূর ঘুম ভেঙ্গে গেলে তিনি প্রথমে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরেন। তারপর পকেটে থাকা সুপার গ্লু ভিকটিমের চোখে লাগিয়ে দেন। এ সময় চিৎকার করলে এনামুল শাবল দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করে। এতে রক্তক্ষরণ হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
এরপর তার হাত-মুখ বেঁধে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে তার কান থেকে দুল টান নিতে গেলে কানের লতি ছিড়ে পুনরায় রক্তক্ষরণ হয়।
news24bd.tv/তৌহিদ
