কাজ করতে গেলে দুর্নীতি হবেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

কাজ করতে গেলে দুর্নীতি হবেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

কাজ করতে গেলে দুর্নীতি হবেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দুর্নীতি আমাদের দেশে কমবেশি সব জায়গাতে বিদ্যমান। দুর্নীতি বাদ দিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করা কঠিন। কাজ করতে গেলে দুর্নীতি হবেই।  

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর এফডিসিতে "স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করার মাধ্যমেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব" শীর্ষক এক ছায়া সংসদে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

তাজুল ইসলাম বলেন, তবে ম্যাক্রো লেভেলে যে ধরনের দুর্নীতি হয় সেটা খুবই খারাপ। দুর্নীতির জন্য আমি নিজেও অনেক কাজ করতে পারি না।

দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি সুখি হতে পারে না। বর্তমানে যে মাত্রার দুর্নীতি হচ্ছে তা কমানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে শপথ গ্রহণ করতে হবে। তবে আগে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ সামাজিক সুরক্ষা খাতের সুবিধাভোগী নির্বাচনে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অনিয়মের যে অভিযোগ ছিল তা এখন অনেক কমে এসেছে।

মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেনের নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। আমাদের দেশে তার মাত্রা বেশি। দলীয় প্রতীকবিহীন আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা থাকলেও সংঘর্ষের আশঙ্কাও রয়েছে। এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমি কাউকে প্রকাশ্যে এবং গোপনে মনোনয়ন দেব না। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ইমেজ সংকট রয়েছে। স্থানীয় সরকারের পদগুলোকে যদি মর্যাদাপূর্ণ করা যায় তাহলে ভালো মানুষ এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সংসদ সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো কনফ্লিক্ট নেই। সংসদ সদস্যরা পদাধিকার বলেই উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে থাকে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গত ৫২ বছরে দেশের অনেক অগ্রযাত্রা হলেও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন তৈরিতে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে অসৎ মানুষদের আধিক্য কমানো সম্ভব হচ্ছে না। দুঃস্থ-বিধবা-প্রতিবন্ধী ভাতা ও কাবিখাসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে প্রদত্ত নানা সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। এবার সরকার দলীয় প্রতীক ব্যতিত স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে আরও বেশি সৎ, জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত করার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা যায়।

"স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করার মাধ্যমেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব" শীর্ষক ছায়া সংসদে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে বংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়।  

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন লেখক-গবেষক জাহিদ রহমান, সাংবাদিক সোমা ইসলাম, সাংবাদিক সাজেদা কালাম সুইটি, সাংবাদিক অনিমেষ কর ও সাংবাদিক আতিকা রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলকে ক্রেস্ট, ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

news24bd.tv/aa