৪১ দিন পর বেনাপোল এক্সপ্রেসে নিহতদের মরদেহ পেল পরিবার

৪১ দিন পর বেনাপোল এক্সপ্রেসে নিহতদের মরদেহ পেল পরিবার

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনার নিহত তিনজনের দাফন ও শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এলিনা ও সৌমির শেষকৃত্য এবং শুক্রবার সকালে আবু তালহার দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে ঢাকা মেডিকেল থেকে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তাদের মরদেহ শনাক্ত হয়।

পরে গত বৃহস্পতিবার তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এলিনা রাজবাড়ী শহরের নূরপুর গ্রামের সাইদুর রহমান বাবুর মেয়ে ও সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী, আবু তালহা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামের আবদুল হক মন্ডলের ছেলে ও চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন প্রামাণিকের মেয়ে। আবু তালহা সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। চন্দ্রীমা ঢাকার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের ফার্মাসিস্ট বিভাগের ছাত্রী।

আবু তালহার বাবা আব্দুল হক বলেন, ডিএনএ টেস্টর মাধ্যমে আবু তালহার মরদেহ শনাক্ত করা হয়।

গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তার মরদেহ হস্তান্তর করে। পরে মরদেহটি গ্রামের বাড়ি কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে আনা হয়। আজ শুক্রবার সকালে তার জানাজা শেষে মরদেহ স্থানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সৌমির চাচা অতনু প্রামাণিক বলেন, গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল থেকে আমরা সৌমির মরদেহ হাতে পাই। রাতেই রাজবাড়ীর খানগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে আনা হয়। রাতেই সুন্দরপুর শশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

এলিমা ইয়াসমিনের ভাই কাজী পলাশ বলেন, গতকাল রাতেই এলিনার মরদেহ রাজবাড়ী তার গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। বাদ এশা লক্ষীকোল আল্লা নেওয়াজ খায়রু উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন এলিনা, রত্না, ইকবাল বাহার ও তাদের সন্তান এবং সৌমি, তালহাসহ বেশ কিছু যাত্রী। কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুনে ট্রেনটির চারটি বগি পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪ জন এবং এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এলিনা, আবু তালহা ও সৌমি।

news24bd.tv/তৌহিদ