ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর আবদিভকা দখলের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে রুশ সেনারা। এই শহরে গত কয়েক মাস যাবত দুই দেশের সেনাদের মধ্যে তীব্র লড়াই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে শহরটি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান।
তিনি বলেছেন, “রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে আবদিভকা। ” তার দাবি, পর্যাপ্ত যুদ্ধাস্ত্রের অভাবে শহরটি হারাতে যাচ্ছে ইউক্রেন।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ‘যতগুলো সম্ভব ততগুলো ইউক্রেনীয় জীবন বাঁচাতে’ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তিনি।
রাশিয়ার সেনারা আবদিভকার দিকে অনেকটা এগিয়ে গেছে।
দুই বাহিনীর লড়াইয়ে আবদিভকা শহরটি এখন একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনের দোনেৎস্কে ঢোকার একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচনা করা হয় শহরটিকে। ২০১৪ সালে দোনেৎস্কের বড় একটি অংশ দখল করে রুশ সমর্থিত মিলিশিয়ারা। এরপর ২০২২ সালে এটি অধিগ্রহণ করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করেন পুতিন। এরপর রুশ বাহিনী ইউক্রেনের অনেক অঞ্চল দখল করে।
অস্ত্রের অভাবে আবদিভকা শহরের পতনের কথা জানিয়ে মার্কিন নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান বলেছেন, “আবদিভকার পতন হতে পারে কারণ যুদ্ধরত ইউক্রেনের সেনাদের কামানের গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানোর জন্য রাশিয়া (এদিকে) একের পর এক সেনা পাঠিয়ে যাচ্ছে। ”
যুক্তরাষ্ট্রের এ কর্মকর্তা দাবি করেছেন, কংগ্রেস ইউক্রেনের সহায়তা বিল এখনো পাস না করানোয় তারা ইউক্রেনকে নতুন করে তারা আর একটি গোলাও দিতে পারেননি। অথচ রুশ বাহিনীকে হারাতে তাদের এসব গোলা খুবই প্রয়োজনীয়।
সূত্র: বিবিসি
news24bd.tv/aa