পুতিনের শত্রু নাভালনি মারা যাওয়ার আগের দিন কী করেছিলেন ? 

নাভালনি

পুতিনের শত্রু নাভালনি মারা যাওয়ার আগের দিন কী করেছিলেন ? 

অনলাইন ডেস্ক

গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইয়ামালো-নেনেতস স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ফেডারেল পেনাল সার্ভিস জানিয়েছিল, অর্থ আত্মসাৎসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে সংশোধনাগারে সাজা ভোগ করা ৪৭ বছর বয়সী নাভালনি হাঁটার পর 'অসুস্থ বোধ করেন', প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
শনিবার রয়টার্স এ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে। প্রতিবেদনের বিষয় মারা যাওয়ার আগের দিন তিনি কী করেছিলেন।  তিনি পুতিনের সমালেঅচক ছিলেন বলে শত্রু হিসেবে পরিচিত রাশিয়ায়।

 
গত বৃহস্পতিবার মারা যাওয়ার আগের দিন তিনি বেশ উৎফুল্ল ছিলেন। তাকে টেলিভিশনের পর্দায় হাসিমুখে দেখে গেছে। তিনি বলেন, আমার অর্থ ফুরিয়ে যাচ্ছে।  অর্থ ফুরিয়ে গেলে কার ভালো লাগে বলুন ?
এরপর তিনি  বিচারকের বেতন নিয়ে মজা করেন।
বলেন, এরা খুবই কম বেতন পায়।
সেদিন তিনি কারাকক্ষ থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরনে ছিল কয়েদির পোশাক। তিনি এই টেলিভিশনের পর্দায় আসার আগে ১ ঘন্টা জগিং করেন। শাওয়ার নেন এরপর খাবার খান।  
এর এক দিন পরই রাশিয়ার কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪৭ বছর বয়সী নাভালনি মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন।
নাভালনি এক দশকের বেশি সময় ধরে রাশিয়ায় বিরোধী নেতা হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন।
ইন্টারভিউ শেষে নাভালনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘ইয়ামাল কারা কর্তৃপক্ষ ভ্লাদিমিরের প্রতি আনুগত্য এবং মস্কো কর্তৃপক্ষকে তুষ্ট করার রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। এইমাত্র তারা আমাকে ১৫ দিনের নির্জন কারাবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে আমি দুই মাসেরও কম সময় ধরে আছি। আর এর মধ্যে আমাকে চতুর্থবারের মতো নির্জন কারাবাসে পাঠানো হয়েছে। ’
২০২১ সালের জানুয়ারিতে নাভালনি প্রথমবারের মতো কারাগারে যান। তখন থেকে তাঁকে ঘন ঘনই নির্জন কারাবাসে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার কারাব্যবস্থায় বিধিভঙ্গকারীদের এমন সাজা দেওয়া হয়ে থাকে। গত বছরের শেষ দিকে তাঁকে উত্তর সাইবেরিয়ার ইয়ামাল-নেনেটস অঞ্চলের কারা কলোনিতে নেওয়া হয়।

news24bd.tv/ডিডি
 

এই রকম আরও টপিক