বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের রাজনীতি

বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব--ফাইল ছবি।

বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের রাজনীতি

অনলাইন ডেস্ক

১৯৫১ সালে বার্লিনে প্রথম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বলা যায় তখন বিশ্বযুদ্ধের ধংসস্তুপের ওপর দাড়িয়ে বিশ্ব। তখন বার্লিন পূব আর পশ্চিম দুই ভাগে বিভক্ত হহয়ে পড়েছিল। পশ্চিম বার্লিন ছিল যুক্তরাষ্ট্রপন্থী।

অন্যদিকে পূর্ব বার্লিন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন পন্থী। ১৯৬১ সালে পূর্ব জার্মানি দেয়াল গড়ো তোলার পর বিচ্ছিন্ন ছিল পূব ও পশ্চিম। পরে ১৯৮১ সালের পর এখন একত্রিত। কিন্তু এর পুরোটাই রাজনৈতিক।

এবারের আসরও রাজনৈতিক ছায়াতলেই হচ্ছে। আলফ্রেড হিচককের ছবি “রেবেকা” দিয়ে ১৯৫১ সালের ৬ই জুন প্রথম এই উৎসবটির উদ্বোধন করা হয়। সেই ছবিটিও ছিল রাজনৈতিক। সূত্র, ডয়েচে ভেলে ইংলিশ ।

বার্লিনালে ২০২৪ উৎসবের উদ্বোধন করা হয় ১৫ই ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ড ও বেলজিয়ামের যৌথ প্রযোজনার ছবি “স্মল থিংস লাইক দিস” প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। এ ছবিতে তিনি আশির দশকে আয়ারল্যান্ডের ছোট্ট একটি শহরের একজন ছোটখাট কয়লা ব্যাবসায়ী বিল ফারলং-এর ভূমিকায় অভিনয় করেন স্টার অভিনেতা সিলিয়ান মারফি। এ ছবিতে তিনি একেবারে সল্পভাষী একজন যিনি একরোখা ভাবে লেগে থেকে ক্যাথলিক চার্চের কিছু গোপন নিষ্ঠুরতার বিষয় উদঘাটন করতে সফল হন। পথভ্রষ্ট অল্প বয়সী মেয়েদের এবং তাদের সন্তানদের প্রতি যে আচরন করা হয় তা তুলে ধরা হয় এই ছবিতে। বলা যায়, ছবিটি নিও লিবারিলিজমের পক্ষের ছবি। এই সিলিয়ান মারফিই রবার্ট ওপেনহাইমারের ভূমিকায় অভিনয় করেন যেখানে তিনি আনবিক বোমার সব খুঁটিনাটি নিয়ে অজস্র কথা বলেন। ওপেনহাইমারের চরিত্রও যে রাজনৈতিক সেটা দর্শক মাত্রই জানেন।
গতবছর অ্যান হ্যাথাওয়ে, মারিসা টমেই ও পিটার ডিঙ্কলেজ অভিনীত কমেডি ‘শি কেইম টু মি’ দিয়ে পর্দা উঠেছিল বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের। হালসময়ে বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক আগুনে উত্তপ্ত ছিল ইউক্রেন ও ইরান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইরানে নারীর পোশাকের স্বাধীনতার আন্দোলন উৎসবটির এবারের আসরের আলোচনার কেন্দ্রে ছিল।
আলোচনার কেন্দ্রে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বর্ষপূর্তি এবং ইরানের হুকুমশাহী। থাকবে এই নিয়ে সিনেমা ও প্রামাণ্যচিত্র।
হলিউড অভিনেতা শন পেন নিয়ে এসেছিলেন প্রামাণ্যচিত্র ‘সুপার পাওয়ার’। রাশিয়ার আক্রমণের শুরু থেকেই এই অভিনেতা ও নির্মাতা ছিলেন ইউক্রেনে। প্রামাণ্যচিত্রে উঠে এসেছিল একজন কৌতুকাভিনেতার রাষ্ট্রপতি হওয়ার গল্প। শন পেন ও ভলাদিমির জেলেনস্কির আলাপচারিতার মাধ্যমে।  
এবার এই উৎসব ব্যতিক্রম নয়।  

news24bd.tv/ডিডি