ইউক্রেন সংঘাতকে ‘মিথ্যার যুদ্ধ’ বলে আখ্যা ইলন মাস্কের

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ইলন মাস্ক (ছবি: সংগৃহীত)

ইউক্রেন সংঘাতকে ‘মিথ্যার যুদ্ধ’ বলে আখ্যা ইলন মাস্কের

অনলাইন ডেস্ক

টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক ইউক্রেনে চলমান সংঘাতকে একটি 'মিথ্যার যুদ্ধ' হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমেরিকান বিনিয়োগকারী ডেভিড স্যাকসের সঙ্গে একমত হয়েছেন তিনি। মাস্কের বিশ্বাস, ইউক্রেনের সংঘাত কিয়েভের জন্য একটি ভারী পরাজয়ের কারণ হবে। এই লক্ষ্যে পশ্চিমাদের সাজানো পরিকল্পনা প্রকৃত সত্যকে ঢেকে ফেলতে চেষ্টা করছে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্যাক্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে 'মিথ্যার যুদ্ধ' শিরোনামে একটি পোস্ট প্রকাশ করেছেন। সেই পোস্টে তিনি যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন, 'কিভাবে ইউক্রেনের সংঘাত মিথ্যা এবং প্রতারণার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়েছিল, কীভাবে এটি চলছে এবং কীভাবে এটি শেষ হবে। '

এই উদ্যোক্তা বলেছেন, পশ্চিমা দেশের নাগরিকদের জানানো হচ্ছে, চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন জয়ী হতে যাচ্ছে যেখানে সত্য হলো এই যে তারা হেরে যাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন তহবিলের ঘাটতি দেখানো হলেও মূল সমস্যা পশ্চিমাদের সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের ঘাটতি।

স্যাকসের মতে, পশ্চিমাদের প্রতারণা এখানেই শেষ হয়নি। 'আমাদের বলা হয়েছে যে শান্তি স্থাপনের কোন সুযোগ নেই যখন আসলেই আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা নিষ্পত্তির একাধিক সুযোগ নিজেরাই প্রত্যাখ্যান করেছি। '

পশ্চিমা নেতারাও মিথ্যাচার করে বলছেন যে কিয়েভ যত দীর্ঘ লড়াই করবে, তত ভাল সুযোগ পাবে কিন্তু সত্য হচ্ছে আসলে এর ঠিক বিপরীত। তথ্যের এই বিকৃতির ফলে চলমান সংঘর্ষ দীর্ঘায়িত হচ্ছে, যার ফলে ইউক্রেনের মানুষ আরও বেশি নিষ্পেষিত হচ্ছে। এর ফলে ইউক্রেনের জনমনে অসন্তোষ দেখা দেওয়া পাশাপাশি দেশটির সরকারব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে স্যাকস অনুমান করেছেন।

স্যাকস শেষদিকে এসে জানিয়েছিলেন, 'যারা ইউক্রেন সম্পর্কে মিথ্যা বলেছিলো তারা তাদের দুর্ভাগ্যকে দোষারোপ করে ইউক্রেনীয়দের পিঠে ছুরিকাঘাত করছে। ' দীর্ঘ এই আর্টিকেলের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মাস্ক একে 'সঠিক' আখ্যা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন যে মস্কো এবং কিয়েভ ২০২২ সালের বসন্তেই বিরোধ নিষ্পত্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছিলো যেখানে ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা ছিলো অন্যতম প্রধান শর্ত। যদিও ক্রেমলিনের মতে, প্রক্রিয়াটি তৎকালীন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দ্বারা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছিলো। কারণ তিনি সে সময় কিয়েভকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাজি করিয়েছিলো। রাশিয়া থেকে এখনো বলা হচ্ছে যে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার দরজা উন্মুক্ত আছে।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের আভদিভকার নিয়ন্ত্রণ নিল রাশিয়া, যুদ্ধে বড় সাফল্য

গত মাসে, কিয়েভের পাল্টা আক্রমণের পর, পুতিনও সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে ইউক্রেন যদি একই রাজনৈতিক পথে চলতে থাকে, তাহলে রাষ্ট্র হিসাবে দেশটির সার্বভৌমত্বের উপর 'গুরুতর আঘাত' আসতে পারে।  

news24bd.tv/SC