বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রায় ৬.৭০ কোটি রুপির স্বর্ণ জব্দ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রায় ৬.৭০ কোটি রুপির স্বর্ণ জব্দ

অনলাইন ডেস্ক

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০.৭৩ কেজি ওজনের স্বর্ণ জব্দ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য প্রায় ৬.৭০ কোটি রুপি। গণমাধ্যমকে বিএসএফ জানিয়েছে, সাম্প্রতিককালে একটিমাত্র ঘটনায় এত বিপুল পরিমাণ অর্থমূল্যের স্বর্ণ এর আগে জব্দ করা যায়নি।  

বিএসএফ জানায়, রোববার বিএসএফ এর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অন্তর্গত ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হোরান্দিপুর সীমান্ত চৌকি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই স্বর্ণ উদ্ধার করে।

উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে ১৬টি বড় আকৃতির স্বর্ণের বার ও ৪টি ছোট আকৃতির স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের ওজন আনুমানিক ১০ কেজি ৭৩৭ গ্রাম এবং এর আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৪  রুপি। পাচারকারী সন্দেহে এক চোরাকারবারীকেও আটক করা হয়েছে। চোরাকারবারীরা এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে।
 

বিএসএফ বিবৃতিতে আরও জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে কমান্ডারের নেতৃত্বে সদস্যদের দুটি দল রোববার সন্দেহজনক এলাকায় অতর্কিত অভিযান চালায়। দুপুর প্রায় ১.৩০ মিনিট নাগাদ দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গোপনে ভুট্টা ক্ষেতে আসতে দেখে। তারা কাছাকাছি আসলে সদস্যরা তাদের থামাতে বললে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এক ব্যক্তি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অন্যজন ধরা পড়ে। এরপর ওই ব্যক্তিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করার সময় তার কোমরে বাঁধা কাপড়ের পুঁটলির ভেতর থেকে বিভিন্ন আকারের ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ইমাদুল বিশ্বাস নামে পাচারে অভিযুক্ত ভারতীয় ব্যক্তিকেও, তার বাড়ি নদীয়া জেলার ভীমপুর থানার অধীন মালুয়াপাড়া গ্রামে।  

জিজ্ঞাসাবাদে ইমাদুল জানায়, সে এবং তার এক সহযোগী রাজু মন্ডল বাংলাদেশের আলমগীরের কাছ থেকে এই স্বর্ণ গ্রহণ করে। মালুয়াপাড়া এলাকায় প্রসেনজিত বিশ্বাসের হাতে সেই স্বর্ণ তুলে দিতেই তারা যাচ্ছিল।  

পরে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারি এবং জব্দ করা স্বর্ণ কলকাতার ‘ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স’ (ডিআরআই) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

সাম্প্রতিককালে সীমান্তে একের পর এক স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএসএফ। যদিও বিএসএফের ডিআইজি (জনসংযোগ) এ কে আর্য জানিয়েছেন, সীমান্তে বাহিনীর কড়া নজরদারির ফলে এই চোরাচালান রুখে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এ জন্য সদস্যদের কাজের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক