বাংলাদেশের সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করবে ইউনেস্কো

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে ইউনেস্কো বাংলাদেশ এর প্রধান ড. সুজান ভাইজের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশের সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করবে ইউনেস্কো

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনেস্কো বাংলাদেশ এর প্রধান ড. সুজান ভাইজের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইউনেস্কো এবং আইসিটি বিভাগ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়ে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে।

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, শিক্ষা, ডিজিটাল লিটারেসি, সহনশীল এবং প্রগতিশীল প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইউনেস্কোর সাথে এজেন্সি টু ইনোভেট প্রকল্পের আওতায় এটুআই প্রকল্প ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

আগামী দিনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক এবং ব্যবসায়ীদের আরো বেশি সচেতন করে গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদেরকে এআই সম্পর্কে সচেতন এবং দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকেও দক্ষতার উন্নয়ন করতে চাই।

এ সময় সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এআই লিটারেসি, সাইবার সুরক্ষা ও প্রয়োজনীয় আইন এবং নীতিমালা নিয়ে আইসিটি বিভাগ ও ইউনেস্কো কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।  

প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এআই নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।

এরপর আইন করা হবে। এ নিয়ে ইউনেস্কো বাংলাদেশকে সহযোগিতার পথরেখা তৈরি করছে।

তিনি বলেন, ইউনেস্কোর সঙ্গে ১৮-২৫ বছরের শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে এটুআই হিউম্যান ডেভলপমেন্ট মিডিয়া উইং। এছাড়াও সারাদেশে স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসমূহে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এআই সম্পর্কে বিভিন্ন বয়সের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের সচেতন করা হবে।

আরও পড়ুন: মুক্তি পেলেন মির্জা আব্বাস

আইসিটি বিভাগ এবং ইউনেস্কো মূলত একসাথে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পাশাপাশি স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির সাথে চারটি সেশন আয়োজন করবে। এআই লিটারেসি সম্পর্কে সচেতনা তৈরি করার জন্য এমপি-মন্ত্রী পর্যায়ে, সচিব পর্যায়ে, বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ইউজিসি অর্থাৎ পলিটিক্যাল লিডারশীপ, ব্যুরোক্রেটিক লিডারশীপ, একাডেমি এবং ইন্ডাস্ট্রি এই চার অংশীদার এবং নীতিনির্ধারকদের সাথে এআই নিয়ে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।

স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে আইসিটি বিভাগ এবং ইউনেস্কো এক সাথে কাজ করবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় যে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরকে স্মার্ট, দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সরকারের সেবাগুলো পেপারলেস এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। ডিজিটাল লিটারেসি, এআই লিটারেসি, সচেতনতা, প্রশিক্ষণ কিভাবে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, চিকিৎসক, এবং সাংবাদিকদের জন্য কাজে লাগানো যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং বেশ কিছু জায়গায় ঐক্যমত পোষণ করেছি আমরা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনেস্কো বাংলাদেশ এর প্রধান ড. সুজান ভাইজ বলেন, আলোচনাটি খুবই চমৎকার ছিল। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মন্ত্রণালয়ের আগ্রহ দেখে আমি অভিভূত। আমরা সহযোগিতার বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছি। এর মধ্যে শুরুতেই আছে এআই। এছাড়াও সবচেয়ে তরুণ বয়সীদের জন্য এআই শিক্ষা, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ও সাংবাদিকদের সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আলাপ হয়েছে। স্মার্ট সিটি, স্মার্ট সিটিজেন ও স্মার্ট লিডার গড়তে বাংলাদেশকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউনেস্কো।

news24bd.tv/ab