শিক্ষক বরখাস্ত হওয়ায় জাবিতে মিষ্টি বিতরণ

শিক্ষক বরখাস্ত হওয়ায় জাবিতে মিষ্টি বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করায় মিষ্টি বিতরণ করেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে এ বিজয়োল্লাস করেছেন তারা। এদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় মাহমুদুর রহমান জনিকে বরখাস্ত করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার আবু হাসান।

আবু হাসান বলেন, শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় পূর্বে গঠিত স্ট্রাকচার্ড কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে তাকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর ফলে তিনি জাবিসহ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে পারবেন না।

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার ও একাধিক 'নৈতিক স্খলনের' অভিযোগ উঠে। সর্বশেষ গতবছরের ১১ই আগস্ট জনির বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের জন্য স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সভাপতি ও রেজিস্ট্রার সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন।

অন্যান্যদের মধ্যে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নুহু আলম, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সভাপতি মাহফুজা মোবারক, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ-উল আলম সহযোগী হিসেবে ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনার পর থেকে ধর্ষণকারী ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র‍্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা, যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা, ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া এবং তদন্ত চলাকালে তাদেরকে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা, এবং ক্যাম্পাসে মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিতে টানা আন্দোলনে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

news24bd.tv/FA