আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই: প্রতিবেদন দাখিল ২৮ মার্চ

ফাইল ছবি

আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই: প্রতিবেদন দাখিল ২৮ মার্চ

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দেননি। সে কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর দুপুরে পুলিশের ওপর পিপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। আসামি আরাফাত ও সবুরকেও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

মামলায় আরও ৭ থেকে ৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন ও ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়া আদালতের আশপাশে ও মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয় অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঘটনার দিন সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে ঢাকার আদালতে প্রিজনভ্যানে নিয়ে আসা হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেওয়ার জন্য সিজেএম আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল-৮ এ নিয়ে যাওয়া হয়।

এ মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা ১৩ নম্বর আসামি মো. ঈদী আমিন (২৭) ও ১৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) আদালত থেকে বের হয়ে যান।

এরপর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছামাত্র আগে থেকেই দুটি মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা আনসার আল ইসলামের ৫ থেকে ৬ জন সদস্য ও আদালতের আশপাশে অবস্থানরত আনসার আল ইসলামের আরও ১০ থেকে ১২ জন সদস্য হামলা চালায়।

জঙ্গিরা কনস্টেবল আজাদের হেফাজতে থাকা আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবু সিদ্দিক সোহেল, আরাফাত রহমান ও আ. সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। পুলিশ সদস্যরা জঙ্গিদের এ কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করেন।

news24bd.tv/কেআই