ইরানে জাতীয় পুরস্কার জিতেছে জয়া আহসানের ‘ফেরেশতে’ 

ইরানে জাতীয় পুরস্কার জিতেছে জয়া আহসানের ‘ফেরেশতে’ 

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান সিনেমা জগতে একের পর এক জয়ের মুকুট পরেই যাচ্ছেন। প্রথমে বাংলাদেশে, এরপর কোলকাতায়, পরে বলিউডে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন। ভারত ও বাংলাদেশে অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার প্রাপ্তির পর এবার ইরানে অনুষ্ঠিত ফজর ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যালে ‘ফেরেশতে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন আরেকটি পুরস্কার।  এ পুরস্কার  ইরানের জাতীয় পুরস্কার  ।

এই পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র তারকা হয়ে ওঠার পথে হাঁটছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। স্টারডাস্টের এক প্রতিবেদনে গুঞ্জনের কথা এরিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে । সেটি হলো, হলিউডেও নাকি জয়া ইতোমধ্যে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন একটি মুভিতে। জয়া যদিও এ ব্যাপারে কিছু বলেননি।

 
তিনি মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে  ইরানের জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার খবরটি নিজেই নিশ্চিত করেছেন ।
নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দেওয়া পোস্টে জয়া লেখেন -'ফেরেশতে' চলচ্চিত্রটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ইরানের জাতীয় পুরস্কার জিতেছে।
প্রতি বছর ফজর চলচ্চিত্র উৎসবের পর, মানবাধিকার, শিক্ষা, পরিবেশ, দাতব্য কাজ ইত্যাদি বিভাগে 'জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন/বহিঃপ্রকাশ' নামে সমাজের জন্য অনুকরণীয় চলচ্চিত্রগুলিকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এই পুরস্কারটি 'খয়র-ই-মান্দেগার' নামক একটি প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রদান করা হয় যা ইরানের সমস্ত দাতব্য প্রতিষ্ঠান, দাতা, এনজিও-এর প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রতিষ্ঠানটি ইরানে ইউনিসেফের মতো সক্রিয়।
এই পুরস্কারের পাশাপাশি, 'ফেরেশতে' চলচ্চিত্রের প্রধান দুই অভিনেতা জয়া আহসান এবং সুমন ফারুককে 'খয়র-ই-মান্দেগার' স্মারক প্রদান করে সম্মানিত করা হয়। , 'ফেরেশতে' চলচ্চিত্রের অভিনেতাদেরকে দেওয়া স্মারকে উল্লেখ ছিল:
"শিল্পের মাধ্যমে দানশীলতা দেখানো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর চিত্র যা কখনও কখনও মানুষকে তার নিজের প্রকৃতির মহাসাগরের গভীরে টেনে নিয়ে যায় যাতে তার অস্তিত্বের মুক্তা শিকার করতে পারে। 'ফেরেশতে' চলচ্চিত্রটি ভালোবাসা এবং শিল্পের এক অসাধারণ মিশ্রণ, যেখানে আপনি প্রতিটি মুহূর্তে দয়ার উজ্জ্বল আভা দেখতে পাবেন। (খয়র-ই-মান্দেগার দাতব্য সংস্কৃতি কেন্দ্র) এই চিরন্তন কাজে ভূমিকা রাখার জন্য 42 তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের 'জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন/বহিঃপ্রকাশ' বিভাগে দাতব্য দৃষ্টিকোণ থেকে সেরা কাজের জন্য আপনাকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে ইরানি বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চলচ্চিত্রগুলির পাশাপাশি 'ফেরেশতে' চলচ্চিত্রটি ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান বিভাগের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসাবে জনগণ, সংবাদপত্র এবং সমালোচকদের দ্বারা সমাদৃত হয়েছিল।
ইরানে 'ফেরেশতে' চলচ্চিত্রটি 'দুরুগহায়ে যিবা' নামে পরিচিত। এ চলচ্চিত্রে জয়া আহসান ও সুমন ফারুক ছাড়াও বাংলাদেশের আরও বেশ কজন শিল্পী রিকিতা নন্দিনী শিমু, শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী অভিনয় করেছেন। পরিচালক মুর্তজা আতশ জমজমের সঙ্গে সিনেমাটি লিখেছেন বাংলাদেশের মুমিত আল-রশিদ। ফারসি ও বাংলা অনুবাদ করেছেন মুমিত আল-রশিদ ও ফয়সাল ইফরান।
ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ফেরেশতে’ সিনেমাতে প্রযোজক হিসেবে আছে ইমেজ সিনেমা, সি তে সিনেমা এবং ম্যাক্সিমাম এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ। news24bd.tv/ডিডি