মাঝখানে প্রমত্তা বলেশ্বর নদী। আর এর পূর্ব পাড়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া আর পশ্চিম পাড়ে বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা খেয়াঘাট। এই দুই ঘাট থেকে খেয়া পারাপারে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছিল যাত্রী হয়রানি। ১০ টাকার খেয়া ভাড়া নেওয়া হতো ১০০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ৩০০ টাকাও। এমনকি হাতে বহনযোগ্য ব্যাগ বা মালামালেরও ভাড়াও নিত ইজারাদারের লোকেরা।
শুধু টাকাই নয়, অভিযোগ আছে প্রতিনিয়ত ইজারাদারের হাতে লাঞ্চিত হতেন যাত্রীরা। তাই খেয়াঘাট দুটি ‘নির্যাতনের ঘাট’ হিসেবে পরিচিত সবার কাছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে দুপুরে বড়মাছুয়া ফেরিঘাটে বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও পিরোজপুর-৩ আসনের এমপি মো. শামীম শাহনেওয়াজ এক সমঝোতা সভার মাধ্যমে খেয়ার ডাক বন্ধ করে ফেরিতে যাত্রী পারাপারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বড়মাছুয়া ও রায়েন্দা খেয়াঘাটের চলমান ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আগামী বৈশাখ মাস থেকে কেউ আর এই দুই খেয়া ঘাটের ইজারা নিতে পারবেন না। এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার থেকে দুটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক ঘন্টা পর পর দুই পার থেকে চলাচল করবে। ফেরিতে পারাপারের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে ১০টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যাত্রী হয়রানি বন্ধে দুই এমপির এই সমঝোতা সভায় মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমানসহ দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ দুই পাড়ের ভুক্তভোগী শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
news24bd.tv/SHS