হাইকোর্টের নির্দেশে নবগঙ্গা নদীর বাঁধ অপসারণ

নবগঙ্গা নদীর বাঁধ

হাইকোর্টের নির্দেশে নবগঙ্গা নদীর বাঁধ অপসারণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

হাইকোর্টের নির্দেশেই নবগঙ্গা নদীর বাঁধ অপসারণ করছে প্রশাসন। এতে একদিকে যেমন নদী ফিরে পাবে প্রাণ অন্যদিকে নদীর আশপাশের শতো মানুষ নদী ব্যবহার করে উপকৃত হবে। কিন্তু নিরীহ ইজারাদারদের কী হবে সে কথা ভাবেনি নদী কর্তৃপক্ষ। আর তাইতো কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পথে বসতে যাচ্ছে জেলেরা।

চাঁদপুর বাওড় বদ্ধ ও পৌলানপুর রুপদহ শাপলা সমিতির সভাপতি আব্দুল আলিম বলেন, আমরা সরকারের সকল প্রকার নিয়মনীতি মেনে ২০২২ সালের ১৬ফেব্রুয়ারি বছর মেয়াদে জলমহলটির ইজারা চুক্তি সম্পাদন করি। যার বার্ষিক ছয় লাখ ষাট) টাকা ইজারা মূল্যে দিয়ে বাড়ও ইজারা নিয়েছি এবং কোটি কোটি ব্যয় করে মাছও দিয়েছি ও আর কিছুদিন পরই এখানে মাছ ধরা হবে। কিন্তু আমাদের কোনো প্রকার নোটিশ অথবা না জানিয়ে রাতের আধারে বাঁওড়ের বাঁধ কেটে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
হরিণাকুন্ডু সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে থেকে বাঁধ অপসারণ করেছেন।

এসময় আমরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশেই বাঁধ অপসারণ করা হচ্ছে। সে সময় হাইকোর্টের নির্দেশনা দেখতে চাইলে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আমরা তখন মাছ ধরার জন্য সময় চাইলেও তিনি বলেছেন আপনাদের যা বলার ডিসি স্যারকে গিয়ে বলেন।
তিনি আমাদের কোন কথাতো শোনেইনি বরং আইনের ভয় দেখিয়েছেন এবং দাঁড়িয়ে থেকে বাঁধের মাটি অবৈধ ইটের ভাটাই বিক্রি করছেন। শুধু তাই নয় বাঁধের মাটি ছাড়াও তিনি চরের মাটিও বিক্রি করেছেন। এছাড়াও স্থানীয়দের কাছেও চড়াদরে মাটি বিক্রি করেছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, আমরা এমনি এমনি মাটি নিই নাই। ৯০০ শ থেকে শুরু করে এক হাজার ও বারশত টাকা পর্যন্ত দিয়ে মাটি ক্রয় করেছি।

সমিতির সভাপতি আরও বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় অনুয়ায়ী আমাদের হাতে আরও ২ মাস সময় রয়েছে। কিন্তু সময়ের আগে কোনো কিছু না জানিয়ে বাঁধ অপসারণ করে আমাদের পথে বসিয়েছেন প্রশাসন। হঠাৎ বাঁধ কেটে দেওয়ায় এক
দিকে যেমন কোটি কোটি টাকার মাছ উন্মুক্ত হয়েছে অন্যদিকে এলাকার শতশত মানুষ মাছ ধরে নিয়েছেন।

অন্যদিকে হিজলি কাপাশহাটিয়া ঘোরদহ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি ইন্দ্রজিত হালদার এলাকার দুস্থ জেলেদের নিয়ে সরকারের সকল প্রকারের নিয়মনীতি মেনে চৌদ্দ লাখ পনের হাজার টাকা ব্যাংক চালান ফরম, আর ফরম নং ( এস,আর,৩৭ দ্রষ্টব্য) টাকা দিয়ে বাওড় ইজারা নিয়েছেন। যা বুঝে পাওয়ার আগেই হঠাৎ করেই বাওড়ের বাঁধ কেটে দেওয়ায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে।

চলতি সমিতির মেয়াদ শেষ হতে ২মাস বাকি নতুন সমিতি বুঝে পাওয়ার আগেই বাঁধ অপসারণে ধংশ হতে পারে জেলেরা। আর তাইতো জেলেদের কথা ভেবে নিশ্চয়ই সুবিচার করবেন প্রশাসন এমনটাই দাবি ক্ষতিগ্রস্ত দুই সমিতির জেলেদের।

হরিণাকুন্ডুর সহকারী কমিশন (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা  রায় বলেন, এ সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারব না, আপনি ডিসি স্যারের সাথে কথা বলেন।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক