ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে এই তরুণীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ শামীম মাদবরের। ইন্দোনেশীয় তরুণীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে থাকা অবস্থাতেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া, ভালোলাগা আরও গভীর হতে থাকে।
এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামের শামীম মাদবরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে গত জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখে বাড়ি আসেন শামীম মাদবর।
সালমা আক্তার নামে শামীম মাদবরের নিকটাত্মীয় বলেন, ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী হলেও কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশিয়া থাকেন। আমাদের শামীম সিঙ্গাপুর থাকেন প্রায় ৬ বছর ধরে। ওখানে থাকা অবস্থাতেই ইফহার সঙ্গে শামীমের পরিচয়। আমরা ফোনে ওই মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। মেয়ে খুবই ভালো। বাড়িতে ছেলের পরিবার প্রথমত বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। তারাও রাজি। পরে গত ১৭ তারিখে ইফহা বাংলাদেশে আসে। '
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে নবগঙ্গা নদীর বাঁধ অপসারণ
এদিকে বিদেশি তরুনীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
প্রতিবেশিরা বলেন, 'বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মেয়েকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে। '
শামীম মাদবরের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, 'বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কিছুদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। এক সঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি। '
শামীম বলেন, 'ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা-সাক্ষাত হয়। ঘণিষ্টতা বাড়ে। সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। আমাদের কারো পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ের জন্যই ইফহা বাংলাদেশে আসে। '
ইফহা বলেন, 'আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাবো। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাবো বাবা-মায়ের কাছে। '
news24bd.tv/DHL