টেকনাফের ওপারে আবার গোলাগুলি, বিকট শব্দে কাঁপল শাহপরীর দ্বীপ

তুমব্রু ও হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে শোনা গেছে গোলাগুলির শব্দ। ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফের ওপারে আবার গোলাগুলি, বিকট শব্দে কাঁপল শাহপরীর দ্বীপ

অনলাইন ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকট শব্দে মাটি কেঁপে উঠেছে। শোনা গেছে মুহুর্মুহু গোলাগুলির শব্দ। বিকেল পাঁচটার দিকে শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার পূর্ব পাশে মিয়ানমার থেকে তিনটি মর্টার শেলের বিকট শব্দ ভেসে আসে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এর আগে গত সোমবার বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এ অবস্থায় তুমব্রু ও হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। তবে উখিয়া সীমান্ত এখনও শান্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।  

এদিকে মিয়ানমারের আরকান রাজ্য শিগগিরই জান্তাবাহিনী থেকে মুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে তারা।

স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ে জান্তাবাহিনী। সেই গুলির শব্দ ভেসে আসছে এপারে। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘গোলাগুলির শব্দ শুনে আমরা কয়েকজন দৌড়ে বিজিবির একটি চৌকির পাশে অবস্থান নিই। এর পর থেকে কাজে যেতে ভয় লাগছে। ’

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে যুক্ত করতে মুসলিমদের ধরে নিচ্ছে জান্তা 

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলম জানান, হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালী সীমান্তে জুমার নামাজের আগপর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এ সময় সীমান্তের কাছাকাছি চিংড়ির খামারে থাকা বাংলাদেশি লোকজন ভয়ে পালিয়ে এসেছেন।

হোয়াইক্যংয়ের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, নাফ নদীর ওপারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি আমাকে জানান। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। ’

তুমব্রু সীমান্তের কাছে কয়েকজন কৃষক জানান, গুলির শব্দ ভেসে আসার পর আমরা মাঠে ছেড়ে দ্রুত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। তবে বিকালের পর আর গুলির শব্দ শুনিনি। তারপরও আমাদের মনে আতঙ্ক রয়ে গেছে। যদি মিয়ানমার সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয় তবে কী করবো তা বুঝতে পারছি না। ’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

news24bd.tv/DHL