বগুড়া সদর উপজেলার গোলাগাড়ি গ্রামের সুবর্ণা রানীর বয়স এখন ১২ বছর। স্থানীয় একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। জন্মের আগে থেকেই তার বাবা কারাবন্দি। জয়পুরহাটে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে একটি মামলায় সেই যে কারাগারে গেলো তার বাবা, আর বের হতে পারেননি।
এ কারণে শিশু সুবর্ণাকে রেখে মা অন্যত্র বিয়ে করে। বাধ্য হয়ে সুবর্ণার প্রতিপালনের দায়িত্ব পরে তার দাদা-দাদীর কাঁধে। বৃদ্ধ দাদা নিজের সংসার চালাতেই যেখানে হিমশিম অবস্থা, সেখানে সুবর্ণার লেখাপড়ার খরচ যোগানো প্রায় অসম্ভব।আরও পড়ুন... মহতি কাজ করছে বসুন্ধরা গ্রুপ
সুবর্ণার এই করুণ কাহিনী জানার পর তাঁকে বগুড়ার হাপুনিয়া পাড়ায় সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করে নেন বসুন্ধরা শুভসংঘ বন্ধুরা।
তিনমাস প্রশিক্ষণ শেষে তাঁর হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন তুলে দেন কালের কণ্ঠর প্রধান সম্পাদক ও নন্দিত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। মেয়েটির বয়স আন্দাজ করেই তিনি প্রশিক্ষণ নেওয়ার কারণ জানতে চান।
আরও পড়ুন...প্রান্তিক দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করছে বসুন্ধরা গ্রুপ
সুবর্নার পরিবারের এমন দুরাবস্থার কথা শুনে তিনি তাত্ক্ষণিক সুবর্ণার জন্য প্রতিমাসে বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে শিক্ষাবৃত্তি চালুর ঘোষণা দেন। যতোদিন সুবর্ণা লেখাপড়া করবে ততোদিন তার লেখাপড়ার খরচ যোগাবে বসুন্ধরা গ্রুপ।
আরও পড়ুন...গ্রামীণ নারীদের স্বাবলম্বী করছে বসুন্ধরা গ্রুপ
একদিকে সেলাই মেশিন সেই সাথে শিক্ষাবৃত্তির ঘোষণা পেয়ে সুবর্ণার চোখ আনন্দে টলমল করে ওঠে। আপ্লুত সুবর্ণা জানায়, ‘এখন আর পড়ার খরচের টেনশন থাকলো না। সেলাইয়ের কাজ করে নিজের খরচ জোগাড় করতে পারবো। আমার স্বপ্ন পূরণের সুবর্ন সুযোগ করে দিল বসুন্ধরা গ্রুপ’।
আরও পড়ুন...
স্বাবলম্বী হওয়ার আশা বগুড়ার ২০ নারীর
সেলাই মেশিনই হবে ভাগ্য বদলের হাতিয়ার
এতিম জুঁইয়ের সহায় বসুন্ধরার সেলাই মেশিন