নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে পিটিআইয়ের আবেদন

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে পিটিআইয়ের আবেদন

অনলাইন ডেস্ক

কারচুপির অভিযোগ তুলে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। পুরো প্রক্রিয়াকে ‘কারচুপির মা’ আখ্যা দিয়ে অনিয়মের ফলে পিটিআইয়ের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ইমরান খান। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।

পিটিআইয়ের দাবি, দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৮০টি আসনে জয়লাভ করলেও কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল ৯২-তে নামিয়ে আনা হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে পিটিআইকে ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শের আফজাল মারওয়াত। পাশাপাশি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করার কথা জানান তিনি।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থার অবসান হলো

পিটিআইয়ের আবেদনের দুইদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট একজন সাবেক সামরিক কর্মকর্তার দায়ের করা আবেদনকে খারিজ করে দেয় এবং আবেদন দায়েরের পর আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ওই কর্মকর্তাকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা করে।

নির্বাচনের ফলাফলের দিক দিয়ে ৭৫টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ। ৫৪টি আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠন করতে হলে আইনসভার ২৬৬টি আসনের মধ্যে ১৩৩টি কোনো দলকে জিততে হবে। সম্প্রতি মুসলিম লীগ ও পিপলস পার্টি ক্ষমতা বন্টনের মাধ্যমে কোয়ালিশন সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুসলিম লীগের শেহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রীব এবং পিপলস পার্টির আসিফ আলী জারদারিকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে ইমরান খানের পাকিস্তানের রাজনীতিতে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।

news24bd.tv/ab