রুচিহীন প্রকাশনার বিপক্ষে জনগণের প্রতিবাদকে সম্মান করি : সংস্কৃতি সচিব

একুশের বইমেলায় মানসম্পন্ন প্রকাশনা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদের অতিথিরা-

রুচিহীন প্রকাশনার বিপক্ষে জনগণের প্রতিবাদকে সম্মান করি : সংস্কৃতি সচিব

অনলাইন ডেস্ক

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ বলেছেন, বাংলা একাডেমির বইমেলায় কয়েকজন ব্যক্তির বিতর্কিত প্রকাশনাকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের ক্ষোভ ও প্রতিরোধ সঠিক হয়েছে। মেলায় তাদের উপস্থিতি প্রতিরোধ করা ছিল যুক্তিসঙ্গত। নীতিনৈতিকতাহীন প্রকাশনার বিপক্ষে জনগণের এই প্রতিবাদকে আমরা সম্মান করি।  

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) আয়োজিত এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি সচিব বলেন, জীবদ্দশায় এন্ড্রু কিশোরের মতো গুণী গায়ককে সম্মানীত করতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী কষ্ট পেয়েছেন। এখন থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জীবদ্দশায় তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছে। সংগীত নিয়ে যারা একুশে পদক পেয়েছেন তারা একজন আরেকজনের সমালোচনা করবেন না, বিরুদ্ধে যাবেন না। যাদের অবদান আছে তাদেরও পরবর্তীতে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, একজন প্রান্তিক দই বিক্রেতা যিনি নিজের সমস্ত উপার্জনের বিনিময়ে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে চলেছেন তাকে একুশে পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। তবে যদি দেশের কিংবদন্তিতুল্য প্রয়াত সংগীত পরিচালক ও সুরকার সুবল দাস, আলাউদ্দীন আলী, আলী হোসেন, আইয়ুব বাচ্চু, প্রবাল চৌধুরীর মতো বরেণ্য ব্যক্তিদের একুশের পদক প্রদান বিবেচনায় নেওয়া হলে তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে। প্রখ্যাত শিল্পী নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, আবিদা সুলতানা, রফিকুল আলম, উমা চৌধুরী, শাকিলা জাফর, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, নকীব খান, জেমস—এর মতো শিল্পীদের সম্মানিত করলে একুশে পদকের মর্যাদা আরও বাড়ত।

তিনি বলেন, প্রতি বছরের বইমেলায় নতুন নতুন বইয়ের ছড়াছড়ি হলেও কতটি বই মানসম্পন্ন হচ্ছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। কতটা বই পাঠক নন্দিত হয়েছে, কতটা বই শিক্ষণীয়। কতটা বই রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রেখেছে তা নিয়ে নানারকম মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন একুশের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে অধিকাংশ বই—এর প্রচ্ছদ, লেখা, ছাপা, অলংকরণ মানসম্পন্ন হয়নি। কিছু কিছু বই আছে যার প্রচ্ছদ ও অলংকরণের সাথে ভেতরের লেখা বা কনটেন্টের কোনো মিল নেই।

‘মানসম্পন্ন প্রকাশনাই পারে একুশের বইমেলাকে সার্থক করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে শরীয়তপুরের মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকার সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, জোসিন্তা জিনিয়া, সাংবাদিক জিয়াউল হক সবুজ, সাংবাদিক পার্থ সঞ্জয় ও সাংবাদিক সাদিয়া চৌধুরী।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

news24bd.tv/কেআই