বিবাহিত জীবন আনন্দের হওয়া জরুরি। মানুষ সুখে থাকার আশায়ই বিয়ের মতো বন্ধনে জড়ায়। কিন্তু এরপরও বেশিরভাগ মানুষের জীবনে একটা সময় পর বিবাহিত জীবন একঘেয়ে হয়ে ওঠে। এমনকি ছাড়াছাড়ির পর্যায়েও চলে যায়।
নেদারল্যান্ডের একদল মনোবিজ্ঞানী গবেষণা করে বের করেছেন কি কি না করলে বা মেনে চললে বিবাহিত জীবন সুখকর হয়। সূত্র, লাইফ ভিউ ম্যাগাজিন।
ঘনিষ্ঠতা না থাকা: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা থাকা জরুরি। বিয়ের কয়েক বছর পার হলেই হারাতে শুরু করে শারীরিক আকর্ষণ।
প্রতিদিন ঝগড়া-ঝাটি: দু’জনের প্রতিদিনের ঝগড়া-ঝাটি একটা সময় বড় অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিবাহিত জীবনে। পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ কমে যাবে। তৈরি হবে বিতৃষ্ণা। একটা সময় সহ্য হবে না একে অন্যকে। তাই ছোট ছোট ঝগড়া এড়িয়ে চলুন। ছাড় দিতে শিখুন। এটি দু’জনের জন্যই জরুরি।
অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার: অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থেকে সময় দিন পরস্পরকে। ছোটদের মোবাইল আসক্তি কমাতে অনেকেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু নিজেরা পালন করেন না সেই উপদেশ। জীবনে এমনিতেই কমে এসেছে ব্যক্তিগত আলাপচারিতার সুযোগ, তার উপর যেটুকু সময় একসঙ্গে থাকবেন, তা-ও যদি কেটে যায় ফোনের পিছনে, তবে অজান্তেই ক্ষতি হতে পারে সম্পর্কের। দেখা গেল সঙ্গী বসে আছে কথা বলার জন্যে। আর অন্য সঙ্গী ফোন নিয়ে ব্যস্ত। এটা কখনোই করা যাবে না।
নিজেদের জন্য সময় বরাদ্দ: সময় বের করুন নিজেদের জন্যে। একসঙ্গে থাকা মানেই কিন্তু কাছাকাছি থাকা নয়। এমন কিছু সময় বার করুন, যা রোজকার অভ্যস্ত যাপনের মধ্যে পড়ে না। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে একসঙ্গে বসে সারাদিনে কে কী করলেন, তার গল্প করুন। প্রথম প্রথম খুবই সাদামাঠা লাগবে বিষয়টি। কিন্তু দেখবেন, এই একটি অভ্যাস এক দিকে যেমন কাছাকাছি আনবে একে অপরকে, তেমনই কমাবে মানসিক চাপ।
ঘুরে বেড়ান: চার দেওয়ালে বদ্ধ ঘরে এক ঘেয়েমি আসবেই। পরিবেশ একটা বড় বিষয়। তাই ঘুরতে বের হোন। সঙ্গী বেড়ানোর কথা বললে কখনোই না করবেন না। মনে রাখবেন তিনি হয়তো স্পেশাল সময় চাইছেন।
আড্ডা দেন : ছোট ছোট আবেগগুলো যা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল সেগুলোকে আবার একবার মনে করে নিন। প্রথমে কোন জায়গা যেতেন, বা কে কি খেতে ভালোবাসেন, তা একবার ভেবে নিয়েই পরিকল্পনা করে ফেলুন। আড্ডা দিন পুরনো দিনগুলো নিয়ে। সেটা ব্রেকফাস্টের টেবিলে হতে পারে বা রাতে ঘুমানোর আগে হতে পারে। এ ব্যাপারে কখনোই সঙ্গীকে না বলা যাবে না।
ভালোবাসার প্রকাশ না করা: বেশিরভাগ বিবাহিত জুটিই এই কাজ করেন। একটা সময় ভালোবাসার কথা মুখে প্রকাশ করার কথা ভুলে যান। মনে যতই ভালোবাসা থাকুক, মুখে অবশ্যই জানাতে হবে। কারণ মানুষ কখনো আরেকজনের মন পড়তে পারে না। তাই মনের কথা মুখেও জানান। আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে ভালোবাসার কথা জানান। আপনার মুখের দু’টি সুন্দর কথা তার দিনটিও সুন্দর করে দিতে পারে।
হাসিখুশি না থাকা: জীবন থেকে হাসি-আনন্দ মুছে ফেলে অনেকে মুখটা ভার করে রাখেন। সবকিছুতেই তারা নেতিবাচকতা খুঁজে বেড়ান। নিজের জীবন নিয়েও থাকেন না সন্তুষ্ট। একই রুটিনে চলতে থাকে নিরানন্দ জীবন। এই গড়পড়তা জীবন কি কখনো ভালোলাগার বিষয়? তাই আনন্দ খুঁজে নিতে শিখুন। ছোট ছোট বিষয়ে খুশি থাকুন।
news24bd.tv/ডিডি