শবে বরাতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল মুসল্লিরা

ইবাদত করছেন মুসল্লিরা

শবে বরাতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল মুসল্লিরা

অনলাইন ডেস্ক

আজ পবিত্র শবে বরাত। আরবি ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ আমাদের এ অঞ্চলে শবে বরাত নামে প্রসিদ্ধ। এটি এমন একটি রাত, যে রাতে বান্দাকে তার প্রতিপালক গোনাহ থেকে মুক্তি দিয়ে ক্ষমা করে দেন। এখান থেকেই ফার্সিতে এটিকে ‘শবে বরাত’ আখ্যা দেওয়া হয়।

মানে মুক্তির রাত।

ইবাদত-বন্দেগি ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। মহিমান্বিত এই রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল আছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

আজ রোববার রাতে এশার নামাজের সময় রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

মসজিদগুলোতে নামাজের পর শুরু হয় শবে বরাতের নফল ইবাদত।

প্রতিবছরের মতো এবারও শবে বরাতের নামাজ পড়তে বায়তুল মোকাররমে উপস্থিত হয়েছেন হাজারো মুসল্লি। কারো হাতে জায়নামাজ, কারো হাতে তসবিহ। প্রত্যেকেই জাতীয় মসজিদে ইবাদত বন্দেগি করার জন্য এসেছেন। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাদএশা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।

শুধু বায়তুল মোকাররমই নয়, এশার নামাজকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সব মসজিদেই দেখা গেছে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। নানা বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আসছেন জামাতে নামাজ আদায় করতে। আগত মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করতেই তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসেছেন।

বায়তুল মোকাররমে আসা মো. সুলতান নামক এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজকের দিনটা খুবই সুন্দর একটা দিন। দুই বন্ধু মিলে এসেছি শবে বরাতের নামাজ আদায় করতে। অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল শবে বরাতের নামাজ এই মসজিদে এসে পড়বো। আলহামদুলিল্লাহ, সেই আশা আজ পূর্ণ হয়েছে। ’

আব্দুল আহাদ নামক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি কোনোদিন বায়তুল মোকাররমে আসিনি। বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করে শবে বরাত উপলক্ষে চলে এসেছি। মসজিদে এসে খুবই ভালো লাগছে। কারণ আজকের দিনটা অন্যান্য দিনের চেয়ে আলাদা এবং পবিত্র একটা দিন। এই দিনটা বছরে একবারই আসে, তাই আমার মনে হয় এই দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’

রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করতে আসা রফিকুল গণমাধ্যমকে বলেন, আট বছর আগে বাবা মারা গেছেন। আজকের রাতে বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। তাই কবর জিয়ারত করতে এসেছি। আল্লাহ যেন বাবাকে মাফ করে দেন। ’

রাতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে আতর, টুপি, মেসওয়াক, তসবিহ, মাস্ক, আগরবাতি, মোমবাতি, জায়নামাজ, পাঞ্জাবি, পাজামা, নামাজ শিক্ষা ও দোয়া-দরুদের বই, মুখরোচক নানা খাবার, শরবত, চায়ের স্টলসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বেশ কিছু দোকানে বর্ণিল বাতি দিয়ে সাজানো দেখা গেছে। কিছু মসজিদে বাড়তি মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে মসজিদের ছাদ, বারান্দা ও সড়কের একপাশে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ছাড়াও ঢাকার ইস্কাটন মসজিদ, সেগুনবাগিচা মসজিদ, বেইলি রোড এলাকার বেশ কয়েকটি মসজিদ ঘুরে মুসল্লিদের ইবাদতে মশগুল থাকতে দেখা যায়।
news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক