সরকারি হাসপাতালে সিট নেই; তাই ১৭ মাস বয়সী শিশু তালহাকে নিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন কুমিল্লার পিকআপ চালক আরিফুল। চিকিৎসা খরচ মেটাতে এখন প্রায় নিঃস্ব। কলিজার টুকরাকে বাঁচাতে প্রয়োজনে সন্তানকে দত্তক দিতে চান তিনি। অসহায় এই বাবা কি হেরে যাবেন দারিদ্র্যের কাছে? নাকি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে উদাহরণ হবেন বিত্তবানরা?
বাঁচার আকুতি নিয়ে হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৭ মাস বয়সী শিশু তালহা।
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন, শিশু আবু তালহার নিউমোনিয়া থেকে ব্লাডে ইনফেকশনসহ নানা জটিলতা রয়েছে। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা সম্ভব; প্রয়োজন অতিরিক্ত অর্থের। ইউনিভার্সাল মেডিকেল হাসাপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর মনির হোসনে বলেন, তারা ব্যয়টা বহন করতে পরছে না। শিশুটি এখন লাইফ সাপোর্টে আছে।
সরকারি হাসপাতালে সিট নেই বলে বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয়বহুল চিকিৎসা মেটাতে নিঃস্ব পিকআপ চালক আরিফুল। খরচ মেটাতে এক সপ্তাহে জমিসহ সবকিছুই শেষ।
চিকিৎসা করাতে না পেরে আড়াই বছর আগে ৬ বছরের মেয়ে আয়েশাকে হারাতে হয়েছিল আরিফুল দম্পতিকে। তাই একইভাবে তালহাকেও হারাতে চান না তারা। প্রয়োজনে কাউকে দত্তক দিতে চান তারা।
২৪ ফেব্রুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয় শিশু তালহাকে।
news24bd.tv/আইএএম