নড়াইলে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতন

সংগৃহীত ছবি

নড়াইলে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতন

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে দাবিকৃত যৌতুক না পেয়ে মুন্নি নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী নির্মম নির্যাতন চালিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ভালোবেসে বিয়ে করায় দেরবসহ শ্বশুরবাড়ির অন্যদের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মনিরা নামক এক নারী। সহিংসতার শিকার গুরুতর আহত দুইজনের নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। উভয় ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

সহিংসতার শিকার নারী ও তাদের স্বজনরা জানান, লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে নানীর আশ্রয়ে প্রতিপালিত বাবা হারা অনাথ মুন্নির স্বামী একই উপজেলার চাঁচোই গ্রামের হৃদয় শিকদার। সে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মুন্নিকে নির্যাতন করে আসছিলো। কিন্তু সেই যৌতুক দেয়ার সামর্থ্য না থাকায় মুন্নির স্বজনরা মুন্নির সুখের কথা ভেবে বিভিন্ন সময় ধারদেনা করে নগদ অর্থসহ নানা সামগ্রী দেয়।

কিন্তু হৃদয় ও তার পরিবারের লোভে সম্প্রতি তারা দোকান করার নামে আবারও ৩০ হাজার টাকা দাবি করে।

সেটি দিতে না পারায় গত বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মুন্নিকে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন করে ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এ অবস্থায় ৩ দিন অতিবাহিত হবার পর শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে সেখান থেকে কোন মতে পালিয়ে নানীর আশ্রয়ে যান মুন্নি। তার নানী রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

অন্যদিকে, সদর উপজেলার দাঁড়িয়াপুর গ্রামে দেবর ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন গৃহবধূ মনিরা। মনিরার স্বামী ঐ একই গ্রামের বিল্লাল শেখ। নিজের পছন্দে মনিরাকে বিয়ে করায় বিল্লালের সংসার থেকে তাকে তাড়ানোর জন্য শুরু থেকেই নানা ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে বিল্লালের পরিবার। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মনিরার দেবরসহ বাড়ির অন্যরা তাকে নির্মম নির্যাতন করে। এতে মারাত্মকভাবে জখম হয় সে। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিতে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

উভয় ঘটনায় ভুক্তভোগীরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।

news24bd.tv/SC