অফশোর ব্যাংকিং: সুবিধা এবং অসুবিধা

অফশোর ব্যাংকিং হচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকের নিজের দেশ ব্যতীত অন্য কোনো দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার পদ্ধতি।

অফশোর ব্যাংকিং: সুবিধা এবং অসুবিধা

অনলাইন ডেস্ক

অফশোর ব্যাংকিং হচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকের নিজের দেশ ব্যতীত অন্য কোনো দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার পদ্ধতি। ট্যাক্স সুবিধা, সম্পদের নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা ও উচ্চ সুদহারের জন্য অনেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। তবে এই ধরণের ব্যাংকিংয়ের কিছু ঝুঁকিও রয়েছে, যার মধ্যে অ্যাকাউন্ট বজায় রাখার উচ্চ খরচ একটি।

অফশোর ব্যাংকিংয়ের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।

প্রথমে সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

অফশোর ব্যাংকিংয়ের সুবিধা

একাধিক মুদ্রায় ব্যাংকিং: অফশোর ব্যাংকিংয়ের সুবিধা হচ্ছে একাধিক দেশের একাধিক মুদ্রায় এই ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। সাধারণত অধিকাংশ গ্রাহক যেই দেশের মুদ্রায় ব্যাংকিং করেন সেই দেশের মুদ্রাতেই এধরণের ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালিত হয়।

সুবিধাজনক ব্যাংকিং: অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে এইধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

গ্রাহকরা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে এটিএম বুথ, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারেন।

অধিক গোপনীয়তা: অফশোর ব্যাংকিংয়ের গোপনীয়তা অনেক বেশি হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিতে গোপনে শেয়ার কেনা যায়, এবং নতুন কেনা শেয়ারের ব্যাপারটি গোপনও রাখা যায়। অধিক ব্যক্তি যদি শেয়ার কেনেন তাহলে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পায়, এবং এতে করে শেয়ারের আকর্ষণ কমে যায়।

ট্যাক্সবিহীন সুদ: এধরণের পদ্ধতিতে ট্যাক্স কর্তনের পূর্বের অবশিষ্ট অর্থের ওপর সুদ দেওয়া হয়। বিদেশি আয়ের ওপরে যারা ট্যাক্স দেন না তারা এই পদ্ধতিতে অধিক রিটার্ন উপভোগ করতে পারেন।  

আরও পড়ুন: রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের আশ্বাস

অফশোর ব্যাংকিংয়ের অসুবিধাগুলো নিম্নরুপ:

একাধিক পদ্ধতি: জায়গার ওপরে ভিত্তি করে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি ভিন্ন হয়। সবচেয়ে সুবিধাজনক অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেতে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়, এবং এক্ষেত্রে নিউ ইয়র্কের ‘আপনার গ্রাহককে জানুন(কেওয়াইসি)’ আইন অনুসরণ করতে হয়।

অর্থ পেতে অসুবিধা: অফশোর ব্যাংকে থাকা অর্থ পেতে অনেক সময় ঝামেলা পোহাতে হয়। এটিএম কার্ড দিয়ে কেনাকাটা এবং অর্থ বের করা গেলেও পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কখনো কখনো সাতদিন লাগতে পারে।

দেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চাইতে অধিক খরচ: বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খরচ দেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চাইতে বেশি। অফশোর ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানে তাদের গ্রাহকরা ধনী, তাই তারা অধিক চার্জ প্রয়োগ করে।

news24bd.tv/ab