ওষুধের দাম আরেক দফায় বাড়ছে। ওষুধ প্রশাসন বলছে, ডলার ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় ওষুধের মূল্য বাড়াচ্ছেন মালিকরা। এতে করে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। অতি প্রয়োজনী এ পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
তবে দাম কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন।বকুল আক্তার, বয়স ৫৭। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন ডায়াবেটিক, থাইরয়েড, প্রেসার, কোলেস্টেরলসহ নানাবিধ সমস্যায়। নিয়মিত ওষুধ কেনেন।
ওষুধ প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৩০৮টি অ্যালোপ্যাথি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার ওষুধ তৈরি করে প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে ২১৯টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ। যার ১১৭টির মূল্য নির্ধারণ করে সরকার। বাকিগুলোর দাম কোম্পানিগুলো ঠিক করে।
একেক কোম্পানি একেক রকম দাম বাড়িয়েছে। বিক্রেতারা জানান, ২০২৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ডলার ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
ওষুধ প্রশাসন জানায়, এসব কারণেই ওষুধের বাড়াচ্ছেন মালিকরা। তবে মার্চ মাসে সরকার, ওষুধ প্রশাসন ও মালিকপক্ষ বসে দাম কমানোর চেষ্টা করবেন বলে জানান ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল আলম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ওষুধের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে সরকার চেষ্টা করবে।
news24bd.tv/আইএএম