টেন্ডার ছাড়াই কোটি টাকার কাজ ভাগাভাগি!

ফাইল ছবি

টেন্ডার ছাড়াই কোটি টাকার কাজ ভাগাভাগি!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই অন্য উপজেলার দুই ঠিকাদারকে প্রায় এক কোটি টাকার কাজ ভাগাভাগি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। ক্ষুদ্ধ ঠিকাদাররা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করে তার কাছে এর প্রতিকার দাবি করেন।

আগামীতে আর এরকম হবে না আশ্বাস দিয়ে ঠিকাদারদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম।

সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগই করেন স্থানীয় ঠিকাদাররা। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ করা হয়েছে। এ নিয়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীতে আর এমনটা হবে না।

প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার শাহজামাল প্রভাত, গোলাম রব্বানী, ফারুক হোসেন, বাবলা, বিপ্লবসহ আরও বেশ কয়েকজন জানান, পরিচালন বাজেটে ইউনিয়ন পরিষদ খাতের আওতায় “ইউনিয়ন পরিষদ অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা প্রকল্প”র মাধ্যমে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৫০ লাখ টাকায় পীরগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন রঙ করণ, “উপজেলা কমপ্লেক্সের অফিস, বাসাবাড়ি, গ্যারেজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা-ড্রেন, ঘটন মেরামত” খাতের আওতায় উপজেলা পরিষদে ২৫ লাখ টাকায় ব্লক রাস্তা নির্মাণ এবং এডিবি খাতে জাবরহাট ও চন্দরিয়া কলেজে ৯ লাখ টাকার কাজ টেন্ডার ছাড়াই বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। স্থানীয় ঠিকাদারদের না জানিয়েই গোপনে জেলার হরিপুর উপজেলার বারাকাত ও মাহিম নামে দুই ঠিকাদারকে কাজগুলো ভাগাভাগি করে দেয়া হয়েছে এবং তারা কাজ করছেন। বিষয়টি জানতে পেরে এর প্রতিবাদ করেন স্থানীয় ঠিকাদাররা।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, কিছুদিন আগে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন হরিপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম। তিনি উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে টেন্ডার ছাড়াই ও স্থানীয় ঠিকাদারদের না জানিয়েই তার বিশ্বস্ত হরিপুরের দুই ঠিকাদারকে দিয়ে কাজগুলো ভাগ করে দিয়েছেন। তারা দায় সারা ভাবে কাজ করছেন। এভাবে কাজ করানোর ফলে একদিকে বঞ্চিত হয়েছেন স্থানীয় ঠিকাদাররা, অন্যদিকে কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে হরিপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম জানান, তিনি নতুন এসেছেন। এ বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না। তার জানা মতে আর এফ কিউ-এর মাধ্যমে কাজগুলো করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ঠিকাদারদের অগ্রাধিকার আছে। এটা কেন করা হয়নি, তা তিনি বলতে পারছেন না। কাজের মান বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। মানের সাথে আপোষ করা হবে না।

news24bd.tv/SHS