বাগেরহাটের কচুয়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামী বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য তিন আসামিকে বেকসুর খালাসও দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বাবুল কর্মকারের ছেলে।
সরকারি কৌশলী সিদ্দিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার চরকাছারিয়া গ্রামের সুবোধ কুমারের মেয়ে সেতু রানিকে আসামি বাপ্পি অপহরণ করে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে বাপ্পি ও সেতু। পরে এলাকায় এসে বাপ্পি তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একই বছর ২ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট আদালতে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করে। মামলাটি পিবিআই তদন্ত শেষে ২০২০ সালে ৪ এপ্রিল স্বামী বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্চশিট দাখিল করে। আদালত ৯ জনের স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
news24bd.tv/SHS