ঢাকা-১৫ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর (ডা. দীপু মনি) বিচার দাবি করেছেন। সাবেক শিক্ষমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, তিনি মিরপুরের মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ধ্বংস করে দিয়েছেন। বুধবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সংসদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান কামাল আহমেদ। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বর্তমান মন্ত্রিসভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে কামাল মজুমদার তাঁর বক্তব্যে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করলেও ডা. দীপু মনির নাম উল্লেখ করেননি। গত সেপ্টেম্বরে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেনকে অবৈধ ঘোষণা করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি। তিনি দুই বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন উল্লেখ করে কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ২ জুলাই বয়স ৬০ বছর হওয়ার পরও তার চাকরির মেয়াদ তিন বছর বাড়ায় গভর্নিং বডি।
বুধবার সংসদের বৈঠকে কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকা (মিরপুর-কাফরুল) অসংখ্য জামায়াতের নেতাকর্মী বসবাস করে। ইতোমধ্যে জামায়াতের আমীর (শফিকুর রহমান চৌধুরী) প্রার্থী হয়েছিলেন (২০১৮ সালের নির্বাচনে)। সেখানের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেটি এখন ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। হঠাৎ করে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও মাউশির ডিজির কারসাজিতে জামায়াতকে ক্ষমতায় বসিয়ে তাঁর গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গত শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। ২ হাজার ৩০০ ছেলেমেয়ে ফেল করেছে। আগের বছরের থেকে এক হাজার ২০০ ছেলে মেয়ে জিপিএ-৫ কম পেয়েছে।
কামাল আহমেদ অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক জামায়াতের। তাকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। সে প্যারালাইসিসে ভুগছে, সে কথা বলতে পারে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বারবার বলার পরেও তাকে এখনো সরানো হয় নাই। কোর্টের পর কোর্ট মামলা তারা করছে, স্কুলটাকে ধ্বংসের মুখোমুখি তারা নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান, স্কুলটাকে আপনি রক্ষা করুন। আপনার বরাদ্দ দেওয়া জমিতে আমি তিলে তিলে এ স্কুলটি গড়ে তুলেছি। এটি নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমি জানি না, কী কারণে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর কুনজর পড়েছে স্কুলটির ওপর। আমি তাঁরও বিচার চাই।
news24bd.tv/আইএএম