গর্ভপাতের অধিকারকে সমর্থন ফরাসি সিনেটে

'আমার শরীর, আমার ইচ্ছা' লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ফ্রান্সের সিনেটের বাইরে জড়ো হন বহু নারী (ছবি: বিবিসি)

গর্ভপাতের অধিকারকে সমর্থন ফরাসি সিনেটে

অনলাইন ডেস্ক

ফ্রান্সে নারীদের গর্ভপাতের অধিকারকে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ, সিনেট এবং সংবিধানে নারীদের গর্ভপাতের অধিকারকে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে এই নিরঙ্কুশ ভোটাভুটি হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এই প্রস্তাবটি ফ্রান্সের নিম্ন কক্ষ, জাতীয় পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল। ১৯৭৪ সাল থেকে ফ্রান্সে গর্ভপাত বৈধ।

কিন্তু এটিকে আইনের অন্তর্ভুক্ত করায় দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পোল্যান্ডের মতো মিত্র দেশগুলিতেও এই অধিকার রক্ষার জন্য ফ্রান্সকে সমর্থন দিয়েছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো সোমবার আবারও একটি বিশেষ ভোট আহ্বান করেছেন। এর জন্য প্যারিস থেকে দূরে ভার্সাই শহরতলিতে তারা একত্রে হয়েছিলেন।

যদি যৌথ অধিবেশন অন্তত তিন-পঞ্চমাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে সংবিধান সংশোধনী অনুমোদন করে, তাহলে এটি নিয়ে গণভোটের প্রয়োজন হবে না। ২০২২ সালের নভেম্বরে গৃহীত একটি মতামত জরিপ জানিয়েছে, যখন গর্ভপাত বিষয়টি উপর ভোটাভুটি হচ্ছিলো তখন ৮৬ শতাংশ লোক সংশোধনীকে সমর্থন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

গত মাসে ম্যাক্রোর সরকার সংবিধানের ৩৪নং অনুচ্ছেদ সংশোধন করেছিলো। সেখানে নারীর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তাদের গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে, ম্যাক্রো বলেছিলেন যে তিনি সংবিধানে এটি লিখিত করে 'অপরিবর্তনীয়' করা হবে। নারীদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমরা বদ্ধ পরিকর।

ভোটের প্রতিক্রিয়ায়, বিচার মন্ত্রী এরিক ডুপন্ড-মোরেটি বলেছিলেন যে তার দেশ একটি ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী হচ্ছে। কারণ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সংবিধানে নারীদের স্বাধীনতা রক্ষা করছি আমরা।  

যদিও এফপি বার্তা সংস্থার সাথে কথা বলার সময়, বেশ কয়েকজন রক্ষণশীল সিনেটর বলেছেন যে তারা সংশোধনী অনুমোদনের জন্য কিছুটা চাপে রয়েছেন। কারণ দেশটির বহু মানুষ এই আইন কার্যকরের পক্ষে রয়েছেন। দেশটির সিনেটের বাইরে তারা প্ল্যাকার্ড হাতে নিজেদের দাবি জানান। সেখানে লেখা ছিলো 'আমার শরীর, আমার ইচ্ছা। ' ইউরোপের ৯৫ শতাংশ নারীই গর্ভপাত করতে নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। (সূত্র: বিবিসি

আরও পড়ুন: ময়ূর পালক নিয়ে সমুদ্রতলে নরেন্দ্র মোদি

news24bd.tv/SC