বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ও সকালে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন... দগ্ধ ২২ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হস্তান্তর করা লাশের মধ্যে ১১ জন হলেন- নাজিয়া (৩৫), আরহান মোস্তফা (৮), সংকল্প পোদ্দার (১২), মিমু (২০), জান্নাতিন (২৩), সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা (১৭), রিয়া (২৩), স্বপ্না আক্তার (৩৭), পম্পি সাহা (৪৬), মেহেরা কবির দোলা (২৫), মাইশা কবির মাহী (২০)।
আরও পড়ুন... বেইলি রোডের আগুনে একসঙ্গে মারা গেছে ৭ বান্ধবী
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা হ্যান্ডমাইক নিয়ে স্বজনদের আহ্বান করছিলেন লাশ শনাক্তের জন্য। নাম-পরিচয় লেখা হচ্ছে জরুরি বিভাগের সামনের একটি বারান্দায়। সেই টেবিল ঘিরে আছেন মৃতদের স্বজনরা।
আরও পড়ুন... রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে লাশ হলেন একই পরিবারের ৫ জন
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। বহুতল ভবনের একটি ফ্লোরে থাকা কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে। রেস্টুরেন্টে আসা শতাধিক মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকে। বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারে সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভবনে আটকে পড়ে যায় খেতে আসা মানুষরা।
আরও পড়ুন...বেইলি রোডের আগুনে ভিকারুননিসার শিক্ষকের মৃত্যু
আগুনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস। ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। তবে উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে কাজ করতে বেগ পেতে হয়েছে। এতে নারীসহ অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই ভবন থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন...
সারি সারি পড়ে আছে লাশ, স্বজনদের কান্নায় ভারী হাসপাতালের বাতাস
বেইলি রোডে আগুনের ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের কমিটি
news24bd.tv/আইএএম
