কুমিল্লার হ্যাটট্রিক শিরোপা নাকি বরিশালের প্রথম

ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী - বিসিবি

কুমিল্লার হ্যাটট্রিক শিরোপা নাকি বরিশালের প্রথম

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এখন পর্যন্ত চারবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। দলটির সামনে এবার সুযোগ সংখ্যাটাকে পাঁচে নিয়ে যাওয়ার। হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে তারা।

সেই পথে কুমিল্লার বাধার নাম ফরচুন বরিশাল। যারা এর আগে কখনো জিততে পারেনি বিপিএল কাপ।

আজ শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দশম বিপিএলের ফাইনালে নামবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ফরচুন বরিশাল। যেই ম্যাচে কুমিল্লার হ্যাটট্রিক শিরোপার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করতে বদ্ধপরিকর ফরচুন বরিশাল।

আবার কুমিল্লাও বরিশালকে দিতে চায় না কোনো সুযোগ। ফাইনালে না হারার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখে পাঁচে পাঁচ করতে চায় তারা।

বিপিএলের তৃতীয় আসর থেকে নিয়মিত খেলছে কুমিল্লা। নিজেদের প্রথম আসরেই মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছিলো কুমিল্লা। এরপর ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে ২০১৮ সালে আবারও ট্রফি জয়ের স্বাদ পায় দলটি। পরে ২০২২ ও ২৩ সালেও ইমরুলের নেতৃত্বে ট্রফি ঘরে তোলে কুমিল্লা। এবার লিটন দাসের নেতৃত্বে খেলছে কুমিল্লা, তবে তাদের পারফরম্যান্সের ধাঁর আছে আগের মতোই।

এর আগে তিনবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেললেও সবকটিতে হেরেছে বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি। বর্তমান ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে ২০২২ সালে ফাইনালে উঠলেও রোমাঞ্চকর ম্যাচে কুমিল্লার কাছে মাত্র ১ রানে হেরে যায় বরিশাল। এর আগে, ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে ফাইনালে উঠেছিলো বরিশাল বার্নার্স নামে দলটি। কিন্তু ফাইনালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে ৮ উইকেটে হারে তারা। এরপর ২০১৫ সালে ফাইনাল উঠলেও কুমিল্লার কাছে ৩ উইকেটে হেরে শিরোপা জিততে পারেনি বরিশাল বুলস নামে খেলা দলটি।

আজ ফাইনালের আগে  গতকাল পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিলে হয় ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন। সেখানে বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালের পরিবর্তে এসেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অলরাউন্ডার নিজেও দুটি ফাইনাল খেলেও ট্রফি ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। এবার সেই আক্ষেপ ঘোচাতে চান মিরাজ, ‘কখনো বিপিএলে ট্রফি জিতিনি। এর আগে দুবার ফাইনাল খেলেছি, এটা নিয়ে তৃতীয় হবে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলব। সবাই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে, কুমিল্লাও চায়। মাঠে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। ’

তামিমের মতো কুমিল্লা অধিনায়ক লিটনও ছিলেন না ফটোসেশনে। তার পরিবর্তে আহসান মঞ্জিলে গিয়েছিলেন জাকের আলী। মিরাজের মতো তিনিও আশাবাদী শিরোপা জয়ের ব্যাপারে, ‘ফাইনালে উঠলেই যে ট্রফি পেয়ে যাব, এমন কিছু নয়। পারফর্ম করেই কুমিল্লা প্রতিবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যদি চ্যাম্পিয়ন হতে হয়, এবারও ফাইনালে আমাদের ভালো পারফর্ম করতে হবে। তবে আমরা জানি, কীভাবে বড় ম্যাচে পারফর্ম করতে হয়। ’

মিরাজও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক ফাইনালের আশাই করছেন, ‘এর আগেও বরিশাল-কুমিল্লা ফাইনাল হয়েছে, সেবার বরিশাল ১ রানে হেরেছে। আশা করছি, এবারও ভালো একটা ম্যাচ হবে, সবাই উপভোগ করবে। ’ প্রতিপক্ষ হিসেবে কুমিল্লার প্রতিও আছে তার সমীহ, ‘কুমিল্লা সব সময়ই অনেক বড় দল। প্রতিপক্ষ হিসেবে চ্যালেঞ্জিং হবে। ভালো খেলাই হবে। কারণ, আমাদের দলও অনেক শক্তিশালী। আমাদের দলেও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, বিদেশি যারা আছে, তারাও খুব ভালো খেলোয়াড়। ’

এদিকে, ফাইনাল নিয়ে দর্শক উন্মাদনাও তুঙ্গে। গতকাল টিকিট নিয়ে দর্শকদের মধ্যে দেখা গেছে হাহাকার। টিকিট না পেয়ে অনেক ক্ষুদ্ধ দর্শক বিসিবির প্রধান ফটক ঘেরাও পর্যন্ত দেয়। এতেই বোঝা যায় কুমিল্লা-বরিশাল ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশার পারদ কোথায় চড়েছে। এবার দেখা পালা, সেই প্রত্যাশা মিটিয়ে কুমিল্লা পঞ্চমবারের মতো নাকি বরিশাল প্রথমবার বিপিএল কাপ ঘরে তোলে।

news24bd.tv/SHS