আগুন ছড়ায় মূলত দুটো কারণে 

রহমান শেলী -ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

বেইলি রোড অভিজ্ঞতা

আগুন ছড়ায় মূলত দুটো কারণে 

রহমান শেলী 

বেইলি রোডের আগুনের সূত্রপাত নীচ থেকে। এই পর্যন্ত ৪৬ জন মৃত্যুবরণ করেছে। বেশির ভাগই আগুনে শরীর পোড়া নয়। তাতে ধারণা, যারা ভেতরে ছিলেন, তারা ধোয়ার কুন্ডলিতে সাফোকেশনে মারা গেছে।


আগুন লাগার বিভিন্ন কারণ থাকলেও দুটি কারণে আগুন ছড়ায় বেশি। আগুনে পোড়া বিভিন্ন ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার উপলব্ধি।
১. 
আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার না করলে বা না জানলে বা অন্য উপায়ে আগুন বন্ধ করা না হলে।
২.
ভেতরে ইন্টেরিয়রে প্রচুর কাঠ বা মেলামাইন ব্যবহার করা।
যা সহজে এক মাথায় আগুন লাগলে সব জায়গায় ছড়িয়ে যায়। আর এইসব কাঠে একধরনের ক্যামিকেল ব্যবহার করে। যা আগুনকে পুড়তে সাহায্য করে।
কী করা যায়?
সকল নাগরিকের জরুরি বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে নিজ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া। অথবা সরকার আইন করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। স্কুল ক্যারিকুলামে কিছু প্রশিক্ষণ সংযুক্ত করা যেতে পারে। দুই এক জায়গা আসলেও পর্যাপ্ত বয়। বাসা বাড়ি দোকানে ইন্টেরিয়রে আগুন পুড়ে দ্রুত ছড়ায় সেসব জিনিস ব্যবহার না করা।

খুবই ছোট একটা প্রশিক্ষণ। ফায়ার এক্সটিংগুশারের মাথার পিনটা টেনে খুলে চাবিতে টিপতে হবে। তাতে গ্যাস বের হবে। চোখের সামনে থাকলেও তা করি না বা শিখি না আমরা। পরিবর্তন দরকার মন মানসিকতার।
আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে আমরা আসি। অনুসন্ধান হয়। তদন্ত হয়। কিন্তু শিক্ষা নিই কয়জন!

লেখক: সরকারি কর্মকর্তা

news24bd.tv/ডিডি