‘বৃষ্টি আমারই মেয়ে’, অভিশ্রুতির মায়ের আর্তনাদ

‘বৃষ্টি আমারই মেয়ে’, অভিশ্রুতির মায়ের আর্তনাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহের জন্য পরিবারের অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে। পরিচয় জটিলতায় এখনো মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি। ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে বাবা আর কুষ্টিয়ার গ্রামে মায়ের অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না।

নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বাবা সবুজ শেখ শুক্রবার থেকে মরদেহের জন্য অধীর অপেক্ষা করছেন।

তার মেয়েকে হিন্দু দাবি করে কালী মন্দিরের পক্ষ থেকে মরদেহের দাবি করা হয়।

শুক্রবার থেকে তিনি মেয়ের সকল একাডেমিক কাগজপত্র দেখাচ্ছেন। আজ রোববার আদালতে তার মেয়ের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ঢাকায় মেট্রোরেলে কাজ করেন।

এদিকে কুষ্টিয়ার গ্রামে মা-বোন প্রতিবেশীরাও রয়েছেন বৃষ্টির মরদেহের অপেক্ষায়। মায়ের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে গ্রামের পরিবেশ। শুক্রবার দুপুর থেকেই তাদের বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড় লেগে আছে। মৃত্যুর খবর আসার পর থেকে বাড়িতে সারাক্ষণ কান্নার রোল লেগে আছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহত সাংবাদিকের মা বিউটি পারভীন আক্ষেপ করে বলেন, বৃষ্টি আমার মেয়ে। সে অন্য কারও মেয়ে হতে পারে না। আমার বুক চিড়ে প্রয়োজনে পরীক্ষা করেন। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাওয়ার আকুতি জানাচ্ছি।

কুষ্টিয়ার গ্রামের বৃষ্টি খাতুন ঢাকায় গিয়ে হয়েছেন অভিশ্রুতি। তিনি কখনো অভিশ্রুতি শাস্ত্রী কখনো অভিশ্রুতি বনিক নাম ব্যবহার করেছেন। কখনো বাবার প্রকৃত নাম সবুজ শেখ, কখনো আবার অভিরূপ শাস্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

তবে ইডেন কলেজে পড়া বৃষ্টি খাতুনের সকল একাডমিক কাগজে তার ও বামা-মায়ের প্রকৃত নামই ব্যবহার হয়েছে। নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী বা বৃষ্টি খাতুনের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায়। পিতার নাম সবুজ শেখ। মায়ের নাম বিউটি বেগম। তারা সবাই ইসলাম ধর্মের অনুসারী।

এই রকম আরও টপিক