কলকাতার আলোচিত বিচারপতি অভিজিৎ চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতার আলোচিত বিচারপতি অভিজিৎ চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন

অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা হাইকোর্টের আলোচিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক রায়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। চাপে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক মামলায় দিয়েছেন সব যুগান্তকারী রায়। হয়ে ওঠেন আম-আদমির অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের প্রতীক।

অন্যদিকে, তাঁর একাধিক নির্দেশ নিয়ে সরব হয় রাজ্যের শাসকদল। ভোট ময়দানে নামার আহ্বান জানিয়ে কটাক্ষ  করেছে কার সমালোচকরা। আর তাই রোববার বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে রাজনীতিতে নামার ইঙ্গিত দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে, সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের কথা।
তাঁকে নিয়ে দড়ি টানাটানিও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তো একধাপ এগিয়ে একেবারে কংগ্রেসে যোগদানের প্রস্তাবও দিয়ে দিয়েছেন। স্পষ্ট বলেন, “ওনাকে বলব ভাল করে ভাবুন। আমাদের দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব থাকল। বিবেচনা করার দায়িত্ব আপনার। কংগ্রেসে আপনি সম্মান, মর্যাদা সব পাবেন। ” খবর টিভি নাইন অনলাইন।  
সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এবিপি আনন্দের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি গতকাল রোববার বলেন, আজ সোমবার ( ৪ মার্চ) তাঁর হাইকোর্টের কর্মজীবনের শেষ দিন। বলেছেন, তাঁর হাতে যে কটি মামলা রয়েছে, সোমবার সেগুলো ছেড়ে দেবেন। এরপর তিনি রাজনীতির বৃহত্তর ক্ষেত্রে পা দেবেন।
বিচারপতি অভিজিৎ কোন দলে যোগ দেবেন, এই প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ঠিক হয়নি। লোকসভার নির্বাচন করবেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রস্তাব এলে ভেবে দেখবেন। যদিও বিজেপির নেতারা দাবি করেছেন তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কংগ্রেসও বলেছে, তাদের দলে যোগ দিলে স্বাগত জানাবেন।
তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্র থেকে আগামী নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন।
তিনি বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর হাইকোর্টের মাস্টারদা সূর্য সেন মূর্তির পাদদেশে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সব প্রশ্নের জবাব দেবেন।
বিচারপতি হিসেবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা রয়েছে আমজনতার কাছে। নানা অনুষ্ঠানে তিনি গেলেই জনতা ঘিরে ধরেন। তাঁরা মনে করেন, দুর্নীতির জেরে যোগ্যতা সত্ত্বেও চাকরি থেকে বঞ্চিতদের সুবিচার পাইয়ে দিতে পারেন একমাত্র বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। এখন তিনি বিচারপতি হিসেবে পদত্যাগ করলে তাঁরা সুরাহা পাবেন কীভাবে? এর জবাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ”আমি সকলকে বলব, আপনারা নিজেদের শুভবুদ্ধি দিয়ে এবার বিচার করুন রাজনৈতিক দলগুলিকে। কারণ, আপনারা রুখে না দাঁড়ালে বাংলার সুদিন ফিরবে না। রাজ্যে যা চলছে, অপমানজনক। যারা শাসক হিসাবে দেখা দিয়েছে, তারা রাজ্যের উপকার করতে পারবে বলে মনে হয় না। ” 

news24bd.tv/ডিডি