দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানে ৪২ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করার ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি অং। মেলবোর্নে আসিয়ান সদস্যদের সাথে এক বিশেষ সামিটের প্রথমদিনে সমুদ্রে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য এই অর্থ যোগান দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে এক বক্তৃতায় অং বলেন, আমাদের অঞ্চলের দেশগুলো জীবিকা ও বাণিজ্যের জন্য সাগর, মহাসাগর এবং নদীর ওপরে নির্ভর করে। এই অঞ্চলের ভারসাম্য রক্ষার জন্য উন্মুক্ত সমুদ্রপথ অত্যাবশ্যক।
কোন কোন দেশ এই অর্থ পাবে সে বিষয়ে অং কিছু না জানালেও তিনি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম কর্তৃক তাদের সমুদ্র সীমানা উন্মুক্ত রাখার প্রশংসা করেন।
মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের হিস্যা দাবী করে আসছে, কিন্তু চীন চায় পুরো সাগরকেই নিয়ন্ত্রণ করতে।
অং বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে, তাইওয়ান প্রণালীতে, মিকং অঞ্চলে যা ঘটবে তা আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করবে।
আসিয়ানের আলোচনার অংশীদার হওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়া এই সামিটের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা মহড়ায় যোগ দিতে কাতারে পৌঁছুল রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ
তবে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সাথে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ককে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির স্বার্থকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার সামরিক জোটের নীরিখে দেখা হয়ে থাকে।
বক্তৃতায় অং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোকে উদ্ধৃত করে বলেন, আমাদেরকে নিজেদের মধ্যকার মতপার্থক্য দূর করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার মিত্র ইন্দোনেশিয়ার অভিযোগ, পারমাণবিক সাবমেরিন কেনার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার অর্থ ব্যয় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্ম দিচ্ছে।
news24bd.tv/ab