বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকায় প্রবাসী খাত

প্রতিবছরই কমবেশি রেমিট্যান্স বাড়ছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকায় প্রবাসী খাত

কামরুল ইসলাম

টেকসই লক্ষ্যমাত্রায় এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ’৭৫-পরবর্তী সময়ে উল্টোপথে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবারও উন্নতির শিখরে উঠতে শুরু করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছে প্রবাসী খাত।

বর্তমানের বিশ্বে ১৭৬ টি দেশে ১ কোটি ৫৭ লাখের অধিক কর্মী কর্মরত রয়েছেন।

২০০৯ সাল থেকে এক যুগে পেশাজীবী, দক্ষ, আধা দক্ষ ও স্বল্প দক্ষ ক্যাটাগরিতে ৮১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪২ জনের বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া নারী কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচন ও ওরিয়েন্টেশন কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ ও বিকেন্দ্রীকরণের ফলে এই সময়ে প্রায় ১০ লাখ নারী কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে ।

১২ বছরে প্রবাসীদের যত অর্জন

অর্থবছর ও রেমিট্যান্সের পরিমাণ (মিলিয়ন ডলার)
২০১১-২০১২, ১২ মিলিয়ন
২০১২-২০১৩, ১৪ মিলিয়ন
২০১৩-২০১৪, ১৪ মিলিয়ন
২০১৪-২০১৫, ১৫ মিলিয়ন
২০১৬-২০১৭, ১৪ মিলিয়ন
২০১৭-২০১৮, ১২ মিলিয়ন
২০১৮-২০১৯, ১৪ মিলিয়ন
২০১৯-২০২০, ১৮ মিলিয়ন
২০২০-২০২১, ১৫ মিলিয়ন
২০২১-২০২২, ২৪ মিলিয়ন
২০২২-২০২৩, ২১ মিলিয়ন
২০২৩-২০২৪, ২৩ মিলিয়ন

দেড় কোটি প্রবাসী কত দেশে কত:

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ।

 

সৌদি আরবে বসবাস করেন প্রায় ২০ লাখ প্রবাসী, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে এর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। ২০২২ সালের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দেশে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ২৫০ কোটি টাকা প্রবাসী আয় এসেছে আমেরিকা থেকে এবং সৌদি আরব থেকে এসেছে প্রায় ৯ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। আমেরিকায় অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার ফলে আমেরিকা থেকে প্রচুর পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রায় ৫ কোটি জনগণ প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে দেশ থেকে প্রায় ৭ লাখ শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। ২০২১ সালে এর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার। বিভিন্ন দেশে গমনকারী শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ অদক্ষ শ্রেণির। এ দুই বছরের বিদেশ গমনকারী শ্রমিকের ৯০ শতাংশের চেয়ে বেশি গমন করেছেন সৌদি আরব এবং ওমানে। বিদেশে গমনকারী অদক্ষ শ্রমিকের মধ্যে বেশির ভাগই কুমিল্লা ও বাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধিবাসী।  

বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ও মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশের প্রবাসীদের অধিকাংশই অদক্ষ শ্রমিক শ্রেণির। তাদের কষ্টার্জিত অর্থ প্রধানত খরচ হচ্ছে পারিবারিক ব্যয় নির্বাহে। তাদের পাঠানো অর্থে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশ লাভ করছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কিছুদিন আগে সুযোগ হয়েছিল সিলেট জেলার কানাইঘাটের গাছবাড়ী বাজারে যাওয়ার। আশ্চর্য হলাম এবং দেখলাম, যে বাজারে  ১৫-২০ বছর আগে উল্লেখ করার মতো খুব একটা কিছু ছিল না, বর্তমানে সেই বাজারে এসি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোনসেট ইত্যাদি সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। বড় ধরনের মিষ্টির দোকান, কনফেকশনারি ইত্যাদিতে বিদেশি প্রসাধনী সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের বিলাসী পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রবাসীদের মাধ্যমে পাঠানো অর্থে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র পালটে যাচ্ছে। বিলাসী পণ্য ব্যবহারের চাহিদাও বাড়ছে এবং বাড়ছে জীবনযাত্রার মান।  

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছেন। দেশে বৃহত্ বিনিয়োগ করতে আর্থিকভাবে সক্ষম এমন প্রবাসীরা এসব দেশে বাসবাস করেন। ইংল্যান্ড, আমেরিকা ইত্যাদি দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি, যারা দীর্ঘদিন ধরে সেই সব দেশে অবস্থান করছেন, তাদের অনেকেই বাংলাদেশে থাকা তাদের সম্পত্তিসমূহ ইতিমধ্যে বিক্রি করে ফেলেছেন অথবা বিক্রির আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এর ফলে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে এবং এতে দেশে প্রবাসী আয় হ্রাস পেতে পারে। কথা হলো স্কুলজীবনের সহপাঠী এবং ইংল্যান্ডের স্টাফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. শহীদুল হাসান বাপ্পীর সঙ্গে, যিনি ইতিপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি জানালেন, চাকরিজীবী এবং অন্যান্য কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে সম্পত্তি কেনার চেয়ে ইংল্যান্ডে সম্পত্তি কিনতে আগ্রহী বেশি। বাংলাদেশে বিশ্বস্ত ব্যক্তির অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনা ইত্যাদির কারণে দেশে অর্থ বিনিয়োগে চাকরিজীবীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন।  

বিশ্বে প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ সপ্তম:

বিশ্বব্যাংক ও নোমাডের প্রতিবেদন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ ৩৯-এ বলা হয়েছে, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ ২০২৩ সাল শেষে সপ্তম স্থানে রয়েছে । এই তালিকায় যথারীতি সবার ওপরে আছে ভারত। চলতি বছর দেশটির প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২৫ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, দেশে গত নভেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি।

 বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৩ সালের শেষে প্রবাসী আয় ২৩ বিলিয়ন থেকে ৩০৭ কোটি ডলার আরও প্রয়োজন, যেটাকে কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রবাসী আয়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার ফলে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের আয় পাঠানো বেড়েছে।

কোন দেশ থেকে বাংলাদেশের কত আয়:

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৩ সালের শেষেও বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের উৎস হিসেবে যথারীতি যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে সৌদি আরব। এ ছাড়া গালফ কো অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) বেশ কয়েকটি দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবাসী আসছে।

২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬৬৯ বিলিয়ন বা ৬৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হবে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৯২ কোটি ( ২১ দশমিক ৯২ বিলিয়ন) ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। যা তার আগের বছরের চেয়ে ৬৩ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২২ সালে ১২ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি ( ২১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন)। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সবশেষ প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ১১ মাসে ১২ লাখ ১০ হাজার কর্মী বিদেশে গেছেন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার।

ডলারের তীব্র সংকটের কারণে এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে অনেক ব্যাংকের। এমন পরিস্থিতিতে বছরের শেষ সময়ের দিকে বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনার সুযোগ দেওয়া হয়। এতে করে কিছু কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দিয়ে প্রবাসী আয় কিনেছে। যার কারণে বছরের শেষ সময় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। তা না হলে এবারও প্রবাসী আয় কম হতো।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ তৃতীয়:

প্রবাসী আয় অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ২০২২ সালের প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বছর প্রবাসীরা দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন ২১ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট প্রবাসী আয়ের ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার বড় দেশ ভারত প্রবাসী আয়েও এগিয়ে। দেশটি ২০২২ সালে প্রবাসী আয় পেয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট প্রবাসী আয়ের ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর দ্বিতীয় পাকিস্তান প্রবাসী আয় পেয়েছে ২৯ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের প্রবাসী আয় বিশ্বের মোট প্রবাসী আয়ের ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

প্রবাসী আয়ে এগিয়ে থাকা দুটি দেশই তুলনামূলক প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে পাঠায়। এ কারণে কম লোক পাঠিয়েও তারা বেশি প্রবাসী আয় নিয়ে আসে। অন্য দিকে বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত জনবল বেশি না হওয়ার কারণে বেশি লোক পাঠিয়েও কম প্রবাসী আয় নিয়ে আসে। বাংলাদেশের প্রবাসী আয় দেশের মোট জিডিপিতে অবদান রাখছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন।

সমস্যা ও ভোগান্তি নিয়ে প্রবাসীদের দাবিসমূহ:

১. প্রবাসীদের (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি, কেননা বাংলাদেশে যে কোনো সরকারি কাজ করার জন্য বর্তমানে এই আইডি কার্ড জরুরিভাবে আবশ্যক।

২. মৃত প্রবাসী পরিবারকে প্রবাসী কল্যাণ ফান্ড থেকে সরকারিভাবে মাত্র ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়, যা বর্তমান সময়ে খুবই সামান্য, এটি বৃদ্ধি করে ১০ লক্ষ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি।

০৩. সকল প্রবাসীর রেমিট্যান্স প্রেরণের ওপর ভিত্তি করে প্রবাসী পেনশন স্কিম চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

০৪. প্রবাসীর স্বাস্থ্যবীমা (মেডিকেল ইন্সুরেন্স) নিশ্চিত করে প্রবাসে এবং দেশে স্বল্প খরচে ভালো মানের হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

০৫. দেশে সরকারিভাবে প্রতিটি জেলায় এবং উপজেলায় প্রবাসী হাসপাতাল করার দাবি জানাচ্ছি। যেন প্রবাসী পরিবার স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন।

০৬. প্রবাস থেকে দেশে ফেরত কর্মীদের স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

০৭. নারী কর্মীদের বিদেশে প্রেরণের জন্য এজেন্সিগুলি নির্ধারিত বয়স ও তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা অভিজ্ঞ, সৎ অফিসার দিয়ে তদারকি করা, গাফিলতি থাকলে এজেন্সির বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া।

০৮. প্রবাসে অসহায় নারী শ্রমিকদের জন্য দূতাবাসের আশ্রয় কেন্দ্রে সুযোগ – সুবিধা বৃদ্ধি করে, তাদের অল্প সময়ের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা।

০৯. প্রবাসী শ্রমিকদের মরদেহ দেশে প্রেরণের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে দূতাবাসের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

১০. প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য দূতাবাসের আইনি পরামর্শ ও সহায়তা কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করা।

১১. পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য আগের মত কনস্যুলেট সেবা চালু করা, প্রবাসী সেবাকেন্দ্রগুলির সেবার মান বাড়ানোর ব্যাপারে দূতাবাসের অফিসারদের দিয়ে দৈনিক মনিটরিং করা।

১২. প্রবাস ফেরত পরিবারের সন্তানদের দেশের ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবাসী কোটা ভিত্তিক ভর্তির সুযোগ প্রদান।

১৩. বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী প্রবাসীদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা।

১৪. বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা।

১৫. বাংলাদেশ বিমানের টিকেট ও লাগেজ সিন্ডিকেটদের মাধ্যমে প্রবাসী যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

১৬. দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত একজন দুর্নীতিবাজ হিসাবে চিহ্নিত রিয়াদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ম্যানেজার আমিনুল হক ভূঁইয়াকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

১৭. সৌদি আরবের প্রবাসী বাংলাদেশি স্কুলগুলির জমি ক্রয় করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজস্ব ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

১৮. বাংলাদেশে সরকারি ইপিজেডগুলিতে প্রবাসীদের ব্যবসা করার সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বিনিয়োগ করার ব্যবস্থা করা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে ২১০ কোটি ডলার।  ৩৯ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ফেব্রুয়ারিতে।

ব্যাংকাররা জানান, নির্বাচনের পর হুন্ডি চাহিদা অনেক কমেছে। আবার আমদানি নিয়ন্ত্রণের ধারা অব্যাহত আছে। তবে ব্যাংকগুলো এখনও ১২১ থেকে ১২২ টাকা দরে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে রেমিট্যান্স কিনছে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় দর নির্ধারিত রয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। এর মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে আসা বেড়েছে। সব মিলিয়ে ডলারের বাজার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

news24bd.tv/কেআই