‘অপরিচিত মহিলাকে ডার্লিং বলা যৌন হয়রানির সামিল’

‘অপরিচিত মহিলাকে ‘ডার্লিং’ বলা যৌন হয়রানির সামিল’

কলকাতা হাইকোর্ট

‘অপরিচিত মহিলাকে ডার্লিং বলা যৌন হয়রানির সামিল’

অনলাইন ডেস্ক

অপরিচিত মহিলাকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করা যৌন হয়রানির সামিল। সম্প্রতি একটি মামলায় এমন মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘ডার্লিং’ শব্দে যৌন ইঙ্গিত রয়েছে। তাই এই শব্দ ব্যবহারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

এই শব্দের ব্যবহারকারীকে সাজাও দিয়েছেন আদালত। খবর ইন্ডিয়া টুডে

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত বলেন, এটি ক্রিমিনাল অফেন্স। ইন্ডিয়ান প্যানেল কোডের ৩৫৪ এ ও ৫০৯ ধারা অনুযায়ী এটি অপরাধ।

মূল ঘটনাটি ঘটে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। অভিযুক্ত যুবক এক মহিলা কনস্টেবলের উদ্দেশে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন ওই কনস্টেবল। এসময় অভিযুক্ত যুবক মহিলার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘কী ডার্লিং, চালান করতে এসেছো নাকি?’’ কনস্টেবল এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

আপত্তিকর এমন মন্তব্যের অভিযোগে নিম্ন আদালত যুবককে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সাজার বিরুদ্ধে পরে উচ্চ আদালতে আবেদন জানান অভিযুক্ত।  

রোববার (৩ মার্চ) বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মহিলা কনস্টেবলের প্রতি যুবকের মন্তব্যে যৌন ইঙ্গিত ছিল। যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। সেটি একটি উৎসবের রাত ছিল। যে অর্থে তিনি ‘ডার্লিং’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তা যে কোনও মহিলার কাছে অসম্মানের।

তবে হাইকোর্ট যুবকের সাজা কিছুটা কমিয়েছে। তিন মাসের পরিবর্তে তাকে এক মাস জেল খাটতে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই শব্দ ব্যবহারে অভিযুক্তকে সতর্কও থাকতে বলেছেন আদালত।

news24bd.tv/aa