সম্পর্ক ভেঙে ইচ্ছেমতো সঙ্গী বদলানো নৈতিকভাবে অনুচিত

ইচ্ছেমতো সঙ্গী বদলানো নৈতিকভাবে অনুচিত

ভারতীয় আদালতের পর্যবেক্ষণ

সম্পর্ক ভেঙে ইচ্ছেমতো সঙ্গী বদলানো নৈতিকভাবে অনুচিত

অনলাইন ডেস্ক

প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর যেকোনো মানুষই মানসিক কষ্টে ভোগেন; এতে করে একজন মানুষ আত্মহত্যাও করতে পারেন। কিন্তু সেই কারণে কারও বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের একটি আদালত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সম্প্রতি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার একটি মামলায় রায় দেওয়ার পর মুম্বাইয়ের আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে এমন মন্তব্য করেন।  

একই সময়ে আদালত আরও বলেন, ইচ্ছেমতো সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে অন্য কোনো সঙ্গী গ্রহণ করা ‘নৈতিকভাবে অনুচিত’।

তবে এই অনৈতিকতার জন্য আইনি কোনো সমাধান নেই।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে নিতিন কেনি নামে মুম্বাইয়ের এক যুবক আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁর নিজের বাড়ি থেকেই নিতিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এরপর নিতিনের পরিবার দাবি করেছিল, নিতিনের প্রেমিকা অযাচিতভাবে সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে অন্য এক যুবককে বিয়ে করার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন নিতিন।

এটিই তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে। এরপর নিতিনের পরিবার ওই প্রেমিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করে।

ওই মামলায় সম্প্রতি নিতিনের প্রেমিকাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছেন মুম্বাই আদালত এবং পর্যবেক্ষণে বলেছেন, নিতিনের মৃত্যুতে তাঁর প্রেমিকার কোনো ভূমিকা নেই। তবে ইচ্ছেমতো সঙ্গী বদলানো নৈতিকভাবে অনুচিত।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় বলা হয়েছে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা করতে গেলে কাউকে সক্রিয়ভাবে মৃত্যুর পরামর্শ বা উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ দরকার হয়। কিন্তু নিতিনের আত্মহত্যার পেছনে এমন কোনো অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন আদালত।

news24bd.tv/aa